image_175647.air ashia

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি: ইন্দোনেশিয়ার ডুবুরিরা গত মাসে বিধ্বসত্ম এয়ার এশিয়ার বিমানের প্রধান কাঠামো থেকে আরো লাশ উদ্ধারে বৃহস্পতিবার অভিযান শুরম্ন করেছে৷ নৌবাহিনীর একটি জাহাজের সাহায্যে এটি চূড়ানত্মভাবে সনাক্ত হওয়ার একদিন পর তারা এ কাজ শুরু করলো৷

বিমানটি ১৬২ জন আরোহী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া নগরী থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে গত ২৮ ডিসেম্বর এটি সাগরে বিধ্বসত্ম হয়৷ দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান বারবার ব্যাহত হলেও সিঙ্গাপুরের একটি সামরিক জাহাজ বুধবার জাভা সাগরের তলদেশে উড়োজাহাজটির প্রধান কাঠামো সনাক্ত করে৷ বিমানটির আরোহীদের অধিকাংশের লাশ এ কাঠামোর মধ্যে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷পানির নীচে সর্বাধনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তোলা বিভিন্ন ছবিতে এয়ার এশিয়ার বিমানটির প্রধান কাঠামো ও এর বিভিন্ন অংশ দেখা যায়৷

অনুসন্ধান অভিযান সমন্বয়কারী উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা এস.বি. সুপ্রিয়াদি এএফপিকে বলেন, ডুবুরিদের ১৫ সদস্যের একটি অগ্রবর্তী দল বিমানটির প্রধান অংশ পরীৰা করতে বৃহস্পতিবার ভোরে সমুদ্র তলদেশে যেতে পানিতে ঝাঁপ দেয়৷ তিনি আরো বলেন, বিমানটির ওই কাঠামোর মধ্যে কত জনের লাশ এখনো আটকা পড়ে রয়েছে তারা প্রথমে তা নিরূপণ করবে৷ তিনি আরো জানান, প্রাথমিক নিরূপণের পর আরো প্রায় ১শ’ ডুবুরি এ উদ্ধার কাজে যুক্ত হবে৷এ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সকলের লাশ যত শিগগিরই সম্ভব তুলতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী৷’এ ঘটনায় এখন পর্যনত্ম ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান বামব্যাং সোয়িলিসত্মিয়ো জানান, ডুবুরিরা বিধ্বসত্ম বিমানের এ অংশ থেকে লাশ উদ্ধারে সমস্যায় পড়লে এটি তুলে আনতে কর্মকর্তারা চেষ্টা চালাবে৷উদ্ধারকারীরা ইতোমধ্যে বড় ধরণের বেলুন ব্যবহার করে বিধ্বসত্ম বিমানের লেজের অংশ সমুদ্রের তলদেশ থেকে ওপরে তুলে আনে৷ সমুদ্র তলদেশের যে অংশে বিমানটির প্রধান অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে তার প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্য থেকে বিমানটির পেছনের অংশ ওপরে তুলে আনা হয়৷