Gopalganj Kobi Gaan

দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ১৫ জানুয়ারি: মাঘের হাঁড় কাঁপানো শীত৷ মধ্যরাতে চাঁদের আলোর নিচে উত্‍সুক দর্শদের ভীড়৷ পাশে হ্যাচাক লাইটের আলোয় আলোকিত্‍ পুরো এলাকা৷ মাঠের মাঝখানে বানানো মঞ্চে দুই কবিয়ালের বাক আর তর্ক-বিতর্কের যুদ্ধ৷ মুগ্ধ দর্শকদের নির্ঘুম রাত আর সেই সাথে ভাবনা৷ যেন এ ভাবনা আশশের চাঁদকেও ছুয়ে গেছে………..৷

কবি গানের এ দৃশ্য এখন শুধুই কাল্পনিক৷ সময়ের সাথে সাথে এ সকল দৃশ্যও যেন আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে৷ কিন্তু শিকড় সন্ধানী কিছু মানুষ এখনও এ কবি গানকে খুঁজে বেড়ায় মনের অজান্তে৷ হারিয়ে যাওয়া এ স্মৃতির দৃশ্যে কিছুটা হলেও পান আনন্দ৷ স্বল্প সময়ের জন্য হলেও খুঁজে পেতে চান সেই আনন্দ৷এরকম কিছু মানুষের জনৗ বুধবার রাতে বারোয়ারী কালী পূজা উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ খাটরা সার্বজনিন কালীবাড়ী প্রঙ্গণে প্রথমবারের মত এ কবি গানের আয়োজন করে খাটরা সার্বজনিন কালীবাড়ী কমিটি৷

কালেরক্রমে হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্য কবি গান পরিবেশন করেন কবিয়াল শিব শংকর সরকার ও জীতের সরকার৷ এ কবিয়ালদের যুক্তি-তর্ক শুনতে আগে থেকেই ভড়ী করেন শ্রোতা-দর্শক৷ শুধু গোপালগঞ্জ শহর থেকেই নয় আশপাশের উপজেলা থেকে নারী-পুরুষসহ অনেকেই এসেছেন এ কবিগান শুনতে৷ যেন পরিনিত হয় এক মিলন মেলায়৷ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী কবি গান শুনে অনেকেই খুশি আবার অনেকেই হারিয়ে গেছেন সেই পুরানো দিনে৷ কিছুটা সময়ের জন্য হলেও এ যান্ত্রিক সভ্যতা থেকে সূদূর অতীতে তাদের নিয়ে যায় এ কবি গান৷ তাই আলো-আধারে ফাগুনের মিষ্টি শীতে প্রচীন বাংলার গীতিকাব্য কবি গান শুনার জন্য মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না৷ ইট পাথরের টুকটাক শব্দকে হার মানিয়ে যেন এক শান্তি পরশ খুঁজে পায় শহরের এ মানুষগুলো৷

খাটরা সার্বজনিন কালীবাড়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপক কুমার বিশ্বাস জানালেন, সকলের সহযোগীতা পেলে এ ঐতিহ্য ধরে রাথা সম্ভব হবে৷