সুরঞ্জিতদৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সহিংসতা করে সরকারকে সংলাপে বাধ্য করবেন বলে কিছু বুদ্ধিজীবীসহ অনেকে মনে করছেন৷ কিন্তু এটা কোনো গণতন্ত্রে, নীতি-নৈতিকতা বহন করে না৷ বুদ্ধিজীবীদের বলতে চাই সন্ত্রাস-নাশকতা-নির্মমতা বন্ধে মুখ খুলুন৷

সোমবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের মিলনায়তনে এসব কথা বলেন তিনি৷চলামান রাজনীতি বিষয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠন৷সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আসুন৷ সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার আছে, এটা কেউ অস্বীকার করে না৷ রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যে সমস্যা আছে তা শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমাধান করা যাবে বলেও জানান তিনি৷

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, অনেকে মনে করেন সরকার বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলেই সহিংসতা বন্ধ হবে৷ কিন্তু দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামলেই কেবল সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব৷ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন,কেবল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নয় আপামর জনসাধারণকে দলমত নির্বিশেষে মাঠে নামতে হবে ৷ এই পেট্রল বোমার কাছে গণতন্ত্র আত্মসমর্পণ করতে পারে না৷ পৃথিবীতে কোথাও নাশকতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে গণতন্ত্রকে নির্মূল করা যায়নি, বরং গণতন্ত্রের কাছেই এ সব নির্মূল হয়েছে৷

কিছু বুদ্ধিজীবী মনে করেন এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা যাবে সংলাপ করতে৷ কিন্তু আগে এই নির্মমতা বন্ধ করার জন্য মুখ খুলতে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান সুরঞ্জিত৷খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে এই সব নাশকতা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ফিরে আসুন৷ অন্যথায় জনরোষের মুখে আপনারা পরাজিত হবেন৷তিনি বলেন, সভা সমাবেশ করার অধিকার সকলেরই রয়েছে কিন্তু সেটি হতে হবে নিয়মতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে৷ তাহলে এই আতঙ্ক অচিরেই শেষ হবে বলেও জানান তিনি৷

টানা অবরোধের মধ্যে গতকাল শেষ হওয়া বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, সহিংস ও নাশকতাকারীরা ধর্মীয় মূল্যবোধকে পদদলিত করে ইজতেমাকে জিম্মি করেছে৷ এই সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইজতেমা সফল করতে সক্ষম হয়েছে৷ সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ূন কবির মিজি প্রমূখ৷