Thakurgaon   Boro Nursery pic-2

দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ২১ জানুয়ারি: ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে বেশির ভাগ ইরি-বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ প্রতি বছর ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলা বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যায়৷এ অবস্থা থেকে উত্তোরনে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা এখন পলিথিন ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করছে৷ কম সময়ে স্বাস্থ্যবান ও ভালো বীজ পাওয়ায় ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিটি চাষিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

কৃষি সম্প্রাসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় চলতি মওসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার ৮০২ হেক্টর জমিতে৷ গত মওসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে৷ আর আবাদ হয়েছিল ৭০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে৷ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে কৃষকেরা বাড়ির পাশ্বর্ে খাল বিল ডোবা ও নদীর ধারে বীজতলা তৈরি করে থাকে৷ কিন্তু প্রতি বছর ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়৷ এ সময় কৃষকেরা পরে বেকায়দায়৷

তখন বাইরে থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়৷ এ অবস্থায় পলিথিন ঢাকা দিয়ে উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ৷ইতোমধ্যে এ জেলায় যেসব বীজতলা তৈরি করা হয়েছে তার অর্ধেকই পলিথিন দিয়ে ঢাকা৷ বীজ গাজার পর রোদ্রজ্জল দিনে দিনের বেলায় পলিথিনের ঢাকা তুলে ফেলতে হয়৷ মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হয়৷ পলিথিন ঢাকা দিয়ে তৈরি বীজতলা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় নষ্ট হয়না এবং সময়মত ক্ষেতে লাগানো যায়৷ এ বীজ হতে ধানের উত্‍পাদনও তুলনামূলক ভাবে বেশি৷ তাই এ পদ্ধতি কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

সদর উপজেলা ভূল্লী বড় বালিয়া এলাকার কৃষক রমজান আলী জানান, গত ৩ বছর ধরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে৷ কারণ শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ তাই বীজ তলা রক্ষার জন্য পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে৷ একই কথা জানালেন ঐ এলাকার কৃষক আল মামুন৷