তীব্র শীত

দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ২২ জানুয়ারি: তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায়  ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে৷ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে৷ তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর হাটবাজার জনশুন্য হয়ে পড়ছে৷ শীতবস্ত্রের অভাবে বাস্তুহারা ও খেটে খাওয়া মানুষ তীব্র দুর্ভোগ পোহাচ্ছে৷ ঠান্ডার কারণে জেলার সর্বত্র সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রানত্ম হচ্ছে লোকজন৷ জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে৷ বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছে না৷ অনেকে খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণ করছে৷ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে বেলা ১১টা পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা কমেনি৷

দরিদ্র মানুষ শীতের তীব্রতায় ঘরের বাইরে কাজে কর্মে যেতে পারছে না৷ ফলে খেটে খাওয়া অনেক পরিবারের লোকজনকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ সেই সাথে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ৷ গতকাল ২দিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায় নি৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বইতে থাকায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে৷ এছাড়া তীব্র শীতে বাড়ছে ডায়রিয়া,নিমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগ৷ শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়ো:বৃদ্ধরা৷ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে ১৫০ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিত্‍সা নিচ্ছে৷ এদিকে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না৷

সিভিল সার্জন ডা: নজরম্নল ইসলাম বলেন, হঠাত্‍ করেই ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রানত্ম হচ্ছে৷ এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় সারাদিন যানবাহন চলাচল করেছে হেড লাইট জ্বালিয়ে৷ জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে ৫ উপজেলায় ইতোমধ্যে ৫,০০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে৷ এছাড়া আরও কম্বল চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে৷