Indo-Bangla

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি: আগামী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণে চতুর্থ ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমস৷দুইবাংলার ক্রীড়াবিদ ও বাসিন্দাদের মধ্যে ভ্রতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আয়োজিত টুর্ণামেন্টে এবার ৯টি ডিসিপ্লিন অনত্মভর্ুক্ত হয়েছে৷

ডিসিপ্লিনগুলো হচ্ছে- অ্যাথলেটিকস, শু্যটিং, সাঁতার, ভলিবল (পুরম্নষ), ব্যাডমিন্টন, বঙ্ংি, ফুটবল (পুরুষ), কাবাডি (মহিলা) ও জিমন্যাষ্টিকস (পুরুষ)৷ এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)৷ শনিবার বিওএ’র একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে৷

এদিকে ইন্দো-বাংলা বাংলাদেশ গেমস ও এস এ গেমসকে সামনে রেখে ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুতির জন্য অনুশীলন খরচ বাবদ ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি বাজেট ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে দিয়েছিল বিওএ৷ তবে এই মুহূর্তে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোন অর্থ বরাদ্ধ না আসায় এনএসসি’র নিজস্ব তহবিল থেকে এককোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনএসসির সচিব শিবনাথ রায়৷

তিনি বলেন, ইন্দো-বাংলাদেশ গেমসের জন্য তারা (বিওএ) আলাদা কোন বাজেট চায়নি৷ দু’টি গেমসের প্রস্তুতর জন্যই তারা উল্লেখিত অর্থ চেয়ে আবেদন করেছে৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি৷ তবে এখনো পর্যনত্ম আমাদের কাছে কোন অর্থ না আসায় আপাতত অনুশীলন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে৷ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় পাওয়ার পর এই টাকা সমন্বয় করা হবে৷

ক্রিকেট ও ফুটবলসহ ১০টি ডিসিপিস্ননের ৬৯টি ইভেন্ট নিয়ে ২০০৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসের দ্বিতীয় আসর৷ সেবার ৪৫টি স্বর্ণ, ২৯টি রম্নপা ও ১৮টি ব্রোঞ্জসহ ৯২টি পদক জিতে সেরা হয়েছিলো স্বাগতিক বাংলাদেশ৷ সফরকারী পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছিলো ২৪টি স্বর্ণ, ৪০টি রুপা ও ২৭টি ব্রোঞ্জসহ ৯০টি পদক৷

সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৪ মার্চ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসের তৃতীয় আসর৷ ওই আসরে ৩০টি স্বর্ণ, ২৯টি রুপা এবং ৩০টি ব্রোঞ্জপদক জেতে সফরকারী বাংলাদেশ৷ অন্যদিকে ৩৪টি স্বর্ণ, ২৮টি রম্নপা ও ২৯টি ব্রোঞ্জ জেতে সেরা হয় স্বাগতিক পশ্চিমবঙ্গ৷