27-01-15-Khaleda Zia-9দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনার পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে সমাহিত সমাহিত করা হয়েছে ।বায়তুল মোকাররম মসজিদে শেষ জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা । দুই নম্বর গেট সংলগ্ন ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এরপর পৌনে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে নিয়ে দাফন করা হয় আরাফাতকে। বিএনপির নেতাদের পাশাপাশি বহু কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছেলেকে বিএনপি সেনা কবরস্থানে দাফন করতে চাইলেও তার অনুমতি মেলেনি।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাকে বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। তাকে সমাহিত করার পর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় তার আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তার কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়।এর আগে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে কোকোর জানাজা শেষ হয় বিকেল ৫টার দিকে।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় অংশ নিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। দক্ষিণ গেটে মানুষের ঢল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর থেকেই জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সমবেত হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীসহ দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ।বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিন পাশে দোতলার উন্মুক্ত স্থানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এখানেই সবাই তার মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিএনপির নেতাদের মধ্যে জানাজায় ছিলেন মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান ওমর, মীর মো. নাছিরউদ্দিন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, রুহুল আলম চৌধুরী, মোসাদ্দেক আলী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, গিয়াস কাদের চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, নেসারুল হক প্রমুখ।

জানাজায় রাজনীতিকদের মধ্যে ছিলেন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, অলি আহমদ, আবদুল মান্নান, রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, মজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, আবদুল লতিফ নেজামী, মুহাম্মদ ইসহাক, আহমেদ আবদুল কাদের, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, খন্দকার গোলাম মূর্তজা, আবদুল মোবিন, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেবেল রহমান গানি, গোলাম মুস্তফা ভুঁইয়া, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান।

বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মো. সালাউদ্দিন কোকোর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন।এরআগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে কোকোকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বায়তুল মোকাররম মসজিদে পৌঁছায়। তবে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে মরদেহ মঞ্চে নিতে দেরি হয়। বেগম জিয়ার ে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।

আরাফাত রহমান েেকাকোর প্রতি সম্মান জানাতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পরেছেন।ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হন আরাফাত রহমান কোকো। তবে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। কিন্তু এরপর দেশে না ফিরে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

মঙ্গলবার বিকালে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলেকে, যিনি মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় সাজা নিয়ে বিদেশে পলাতক ছিলেন।কুয়ালালামপুর েেথকে আরাফাতের লাশ সকালে ঢাকায় আনার পর বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। সেখানে খালেদা জিয়া ছেলেকে শেষবার দেখেন। সেখান থেকে বিকালে কফিন নেওয়া হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে, সেখানে জানাজায় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থক অংশ নেন।

জানাজার আগে থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ ফটক সংলগ্ন সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তর ফটকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে দৈনিক বাংলা মোড়, দক্ষিণে জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান ফ্লাইওভার পর্যন্ত পুরো সড়ক ভরে ছিল জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষে।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানাজা পড়ান। এরপর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় মসজিদের পশ্চিম পাশে খোলা স্থানে, সেখানে কফিনে ফুল দেওয়া হয়।পৌনে ৬টার দিকে দাফনের জন্য বনানী কবরস্থানের পথে রওনা হয় আরাফাতের কফিনবাহী আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের গাড়িটি। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কফিন মসজিদ থেকে বের করতে নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।

জানাজায় অংশ নেন বিএনপি-জামায়াত ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী ে শোর হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মানুষ কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন রাস্তাগুলোতে। নামাজের কাতার প্রসারিত হয় দক্ষিণ দিকে গুলিস্তান,বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে উত্তর দিকে পল্টন, নয়াপল্টন, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল পর্যন্ত।এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করে কোকোর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি।

জানাজার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই কোকোর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে।

জানাজাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট, স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা ও জুয়েলার্স মার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ র‌্যাব। এসব এলাকায় প্রিজন ভ্যান থেকে শুরু করে রায়টকার, এপিসি ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়।জানাজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের দোকানপাট ও হকার ব্যবসায়ীদেরও তুলে দেওয়া হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয় জুয়েলার্স মার্কেট, জিপিও ও পল্টন মোড় এলাকাতেও।

জানাজা উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে পশ্চিম দিকে জিরো পয়েন্ট, পূর্ব দিকে স্টেডিয়াম মার্কেট ও এলাকা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ দিকে গুলিস্তান সিনেমা হল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতার ভিড়।নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতার ভিড় উত্তর গেট থেকে পশ্চিম দিকে পুরানা পল্টন মোড় ও তৎসংলগ্ন এলাকা এবং পূর্ব দিকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে কোকোর মরদেহ।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোকোর মরদেহ বুঝে নেন কোকোর চাচাতো ভাই মাহবুব আল আমিন ডিউ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়া মনোনীত বিএনপির পাঁচ নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।বিমানবন্দরে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নান, মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর থেকে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে কোকোর মরদেহ গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কার্যালয়ের নিচতলার কনফারেন্স রুমে তার মরদেহ রাখা হয়। এ সময় মা খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়ার নাড়িছেঁড়া ধন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। কিন্তু সে দেহ প্রাণহীন। শোকে পাথর বেগম জিয়া সন্তানের মুখ ধরে গুমওে কেঁদে উঠলেন, অশ্র“সিক্ত চোখে মোনাজাত করলেন এবং জানালেন শেষ বিদায়।মঙ্গলবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ১টা ৪৮ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ নামানো হয়। সোয়া ২টায় ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে নিচে নামেন খালেদা জিয়া।এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১০২ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।ঢাকায় পৌঁছার পর কোকোর মরদেহ নেয়া হয় সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। সেখান থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নেয়া হয় মরদেহ। সেখানে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। বিকেলে বনানীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে।সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা আরাফাত গত শনিবার হৃদরোগে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় সাজা নিয়ে স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই মেয়েকে নিয়ে কুয়ালালামপুরে থাকছিলেন তিনি।বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।

আরাফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মামা শামীম এস্কান্দারসহ কয়েকজন স্বজন ও বিএনপি নেতা ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া রওনা হন। রোববার সেখানে জানাজা শেষে কুয়ালালামপুরে একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা ছিল লাশ।মঙ্গলবার কফিন নিয়ে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান শামীমসহ বিএনপি নেতারা। বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল।বিমানবন্দর থেকে কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স বেলা পৌনে ২টার দিকে পৌঁছায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে, যেখানে গত ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন কোকোর মা খালেদা জিয়া।

কোকোর কফিন রাখা হয় কার্যালয়ের নিচতলার একটি কক্ষে। মিনিট দশেক পর ওপরের চেম্বার থেকে নেমে এসে ছেলের কফিনের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। কফিনের পাশে বসে দুই নাতনী জাফিয়া ও জাহিয়াকে জড়িয়ে ধরেও কাঁদতে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। এ সময় তাকে দুই পাশ থেকে ধরে রাখেন পুত্রবধূ শর্মিলা এবং দুই ভ্রাতৃবধূ নাসরিন সাঈদ ও কানিজ ফাতেমা।

নিচ তলার ওই কক্ষে আত্মীয় ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানু, দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অবসরটওাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।পরিবারের সদস্যদের শেষবার দেখার জন্য কোকোর কফিন ওই কক্ষে রাখা হয় প্রায় এক ঘণ্টা। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট খালেদা জিয়া সেখানে ছিলেন। কফিনের পাশে বসেই ছেলের জন্য মোনাজাত করেন তিনি।পরে তার সামনেই কফিনটি ঢেকে দেওয়া হয় এবং অশ্রুসিক্ত খালেদা দাঁড়িয়ে থেকে ছোট ছেলেকে শেষ বিদায় জানান।একদিকে লাশের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়, অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে দুই পাশ থেকে ধরে দোতলায় নিয়ে যান তার দুই ভাইয়ের স্ত্রী। বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে কোকোর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় বায়তুল েেমাকাররমে। দলীয় নেতা-কর্মীদের বেষ্টনিতে পৌনে ৫টায় কফিন সেখানে পৌঁছায়। সেখান থেকে পৌনে ৬টায় কফিন নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।

অবরোধের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের কার্যালয়, সেখান থেকে বায়তুল মোকাররম, জানাজা শেষে বনানীতে নেওয়ার পুরোটা সময় কফিনের সঙ্গে ছিল বিএনপি নেতাদের কয়েকটি গাড়ি; সামনে ছিল মোটর সাইকেলের বহর; আর কফিন ঘিরে হাঁটছিলেন বহু নেতা-কর্মী।আরাফাতের মৃত্যুতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। মঙ্গলবার সারাদেশে গায়েবানা জানাজাও হয়েছে। একমাত্র ভাই তারেক রহমান রোববার লন্ডনে গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।