তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

দৈনিকবার্তা- ঢাকা,২৭জানুয়ারি : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন,আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ যাঁরা আলোচনার পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁদের বলব সরকারকে নয়, আগে খালেদা জিয়াকে নাশকতা, জ্বালাও, পোড়াও বন্ধ করার পরামর্শ দিন৷ তিনি বলেন, বোমাবাজদের যদি কারাগারে যেতে হয়, তবে উসকানিদাতা হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থান হবে কাশিমপুর কারাগারে৷মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারি রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংলাপে মন্ত্রী এ কথা বলেন৷

হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া যদি জঙ্গিবাদ না ছাড়েন, নাশকতা বন্ধ না করেন তাহলে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই৷ খালেদা জিয়া হলেন নাশকতার রানি৷ অশান্তির রানি, সন্ত্রাসের রানি৷ উনি বাংলাদেশের রাজনীতির শনি৷ সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সামপ্রতিক নাশকতার ঘটনায় সাত হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷কয়েকজন মন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, দিনক্ষণ দিয়ে সন্ত্রাস বন্ধ হয় না৷ তবে এই অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চলছে৷ একটু সময় লাগবে৷

এদিকে, টিভি নেটওয়ার্ক ক্যাবলে প্রথম ৩০টি চ্যানেলের মধ্যে বিদেশি কোনো চ্যানেল না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷ একইভাবে ক্যাবল টিভিতে বাংলা সিনেমাও ওেদখানো যাবেনা৷মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিভিশন(বিটিভি) কার্যালয়ে টিভি নেটওয়ার্ক ক্যাবল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন৷

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ক্যাবল মালিকরা সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো কিছু দেখাতে পারবেন না৷ দেশের স্বার্থে কোনো ক্যাবল মালিক বা ফিড অপারেটররা ক্যাবল টিভিতে বাংলা ছবি দেখাতে পারবেন না৷ পাইরেসি ছবি দেখানো হলে তার লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে৷তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে খুব শিগগির ৩০টি দেশীয় চ্যানেলের একটি তালিকা তৈরি করে দেওয়া হবে৷ টিভি নেটওয়ার্ক ক্যাবল মালিকদের সেই চ্যানেলগুলো আগে দেখাতে হবে৷ এই ৩০টি চ্যানেলের মধ্যে কোনো স্টার টিভি বা কার্টুন টিভি দেখানো যাবে না৷ বাংলা চ্যানেল দেখানোর পর যত খুশি বিদেশি চ্যানেল দেখানো যাবে৷

তিনি আরও বলেন, টিভি নেটওয়ার্ক ক্যাবল মালিকদের পাইরেসি বন্ধ করতে হবে৷ তাদের কারণে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পটি ধ্বংসের পথে৷ কোনো ছবি মুক্তি পেলে সেটার পাইরেসি কপি কয়েকদিনের মধ্যে ক্যাবল মালিকরা চালাতে শুরু করেন৷ এতে করে মানুষ এখন আর সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখতে চায় না৷ তাই এ শিল্পকে বাঁচাতে ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে পাইরেসি সিডি দেখানো বন্ধ করতে হবে৷ কেবল মালিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেন৷ জেলা প্রশাসন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি)র মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

মতবিনিময় সভায় ঢাকার ক্যাবল মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এসএম আনোয়ার পারভেজ, মীর আক্তার হোসেন, সৈয়দ মোশাররফ হোসেন চঞ্চল, সৈয়দ হাবীব আলী, অভিনেতা নাদের চৌধুরী প্রমুখ৷ মতবিনিময় সভায় ক্যাবল ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা মন্ত্রীকে জানান৷ মন্ত্রী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন৷