নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান-1

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি: পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, হরতাল অবরোধ তুলে না নেওয়া হলে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় পোড়া গাড়ি দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হবে। শুধু তা-ই নয়, ওই কার্যালয়ের পানি ও বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হবে। তাঁর বাড়িতে খাবারও ঢুকতে দেওয়া হবে না, অবস্থা এমন হবে যে খালেদা জিয়া না খেয়ে মারা পড়বেন।শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী- পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে শাজাহান খান এসব কথা বলেন। শাজাহান খান এই সংগঠনের আহ্বায়ক। হরতাল অবরোধের নামে পেট্রলবোমা মেরে পরিবহন শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ, হত্যা, গাড়ি পোড়ানো এবং নাশকতা বন্ধের দাবিতে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, আগামী ২ ফেব্র“য়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে হরতাল তুলে নেন। আর মানুষ মারবেন না।

শাহজাহান খান বলেন, ওই দিন এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে যে, বিএনপির নেত্রী হরতাল অবরোধ প্রত্যাহারে বাধ্য হবেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বেগম জিয়া যদি কথিত হরতাল- অবোরধ প্রত্যাহার না করেন তাহলে জনগণ তার সকল নাগরিক সবিধা বন্ধ করে দেবে।তিনি বলেন, বেগম জিয়া গণতন্ত্রের নামে দেশব্যাপী জ্বালাও পোড়াও করছেন। মানুষ হত্যা করছেন। বাসে আগুন দিচ্ছেন। এ আগুনে তাকে জ্বলতে হবে। এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরিন আখতার, নারী জোটের সভাপতি আফরোজা হক রীনা, মুক্তিযোদ্ধ্ াসংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমত কাদির গামা,শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম খান রণি, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া প্রমূখ।সভায় আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নৌ-মন্ত্রী। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেÑ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান ২০ দলীয় জোটের আহূত অবরোধ ও হরতালে পেট্রোল বোমা, গান-পাউডারে পোড়া গাড়ির প্রতিকী নিয়ে বিক্ষোভ । আজকের মহাসমাবেশ থেকে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আহূত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।

৩ ফেব্র“য়ারি সকল জেলা শহরের শহীদ মিনারে শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল পেশার জনগণ, নারী ও মুক্তিযোদ্ধারা এবং সকল বাস ও ট্রাক টার্মিনালে মালিক ও শ্রমিকরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, অবরোধ ও হরতালের নামে মানুষ হত্যা ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।৫ ফেব্র“য়ারি বেলা ১২টা ৪৫মিনিটে থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের জন্য সকল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসবেন এবং ১৫ মিনিট রাস্তায় দাঁড়িয়ে চলমান হরতাল অবরোধের প্রতিবাদ জানাবেন।৫ ফেব্র“য়ারি পৌনে ১টায় দেশের বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি ও মেক্সি, হিউম্যান হলার, অটোরিক্সাসহ সকল সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে।

লঞ্চ, স্টিমার, ফেরী, কার্গো, লাইটারেজ, অয়েল ট্যাঙ্কারসহ সকল নৌযানে এবং রেলগাড়ি ও মাল গাড়িসহ সকল প্রকারের যানবাহনের হর্ন দুই মিনিট পর্যন্ত একটানা বাজিয়ে চলমান অবরোধ ও হরতালের নামে শ্রমিক ও যাত্রীসহ অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসাত্মক এবং নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে।৫ ফেব্র“য়ারি বেলা পৌনে ১টায় সকল দোকান মালিক-কর্মচারী নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।৫ ফেব্র“য়ারি বেলা ১২.টা ৪৫ মিনিট হতে বেলা ১টা পর্যন্ত একটানা ১৫ মিনিট ক্ষেতে-খামারে কৃষকরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবে।৭ ফেব্র“য়ারি, সকাল দশটায় মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শ্রমিক-কর্মচারীসহ শ্রেণী, পেশা, নারী, ছাত্র, যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের জাতীয় কনভেনশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।