21-february-2012-9_47281

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি: রোববার (১ ফেব্রুয়ারি)থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণ ও মননের উত্‍সব অমর একুশে গ্রন্থমেলা’২০১৫৷আগের সকল রেকর্ড ভাঙতে চায় এবারের বইমেলা৷রোববার পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫৷ বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন৷একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চার দিনব্যাপী দ্বিতীয় আনত্মর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৫’রও উদ্বোধন করবেন৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি৷ শুভেচছা বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিত্‍ কুমার বিশ্বাস৷ স্বাগত বক্তৃতা দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান৷ সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামান৷

অনুষ্ঠানে আনত্মর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন জার্মানির সাহিত্যিক হান্স হার্ডার, ফরাসি লেখক ফ্রাঁস ভট্টাচার্য, বেলজিয়ামের সাহিত্যিক ফাদার দ্যতিয়েন এবং ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, গবেষক ও ভাষাবিদ ড. পবিত্র সরকার৷
গ্রন্থমেলা ও সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪ প্রদান করবেন৷বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান৷এ সময় আরো বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিত্‍ কুমার বিশ্বাস, মেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ড. জালাল আহমেদ, পৃষ্টপোষক টেলিটক বাঙলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপনন) মো: শাহ আলম ও স্টেপ মিডিয়ার এম সালেহ বাদল৷

মহাপরিচালক বলেন, গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমি সম্মুখস্থ ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়াদর্ী উদ্যানে৷ স্থান সংকুলানের অভাবে গতবছর থেকে মেলা বাংলা একাডেমির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়৷ মেলা আকর্ষণীয় ও আনত্মর্জাতিক মানের করতে গতবারের তুলায় এবার উদ্যানের প্রায় দ্বিগুণ স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে৷তিনি বলেন, গ্রন্থমেলায় এবার মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৫৬৫টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১২৮টি ইউনিট এবং সোহরাওয়াদর্ী উদ্যানে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়৷

মহাপরিচালক বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমিসহ মোট ১১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে গ্রন্থমেলায় প্যাভিলিয়ন প্রদান করা হয়েছে৷ প্রতিটি প্যাভেলিয়নের জন্য ৪০০ বর্গফুটের সমপরিমান স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া মেলার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ১০৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১টি করে ইউনিট, ৯৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২ ইউনিট, ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩টি ইউনিট এবং ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷

তিনি বলেন, একাডেমির অভ্যনত্মরীণ অংশে ৩২টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট, ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪টি ইউনিট, ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে ২০টি ইউনিট এবং ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২২টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ এবার উন্মুক্ত জায়গাসহ ৭২টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে জায়গা দেয়া হয়েছে৷ ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান মিলে বাংলা একাডেমির ৫টি বিক্রয় কেন্দ্র থাকবে উলেস্নখ করে শামসুজ্জামান খান বলেন, এসব কেন্দ্রে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০ ভাগ কমিশনে এবং ২০০০ সালের পূর্ব পর্যনত্ম প্রকাশিত একাডেমির বই ৭০ ভাগ কমিশনে বিক্রি করা হবে৷ এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ ভাগ কমিশনে বই বিক্রি করবে৷ একাডেমির ৫টি স্টলের একটি সম্পূর্ণভাবে একাডেমির প্রকাশিত শিশু-কিশোরতোষ গ্রন্থ দিয়ে সাজানো হবে৷তিনি বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে গত বছর থেকে এ বছর পর্যনত্ম প্রয়াত দেশের ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যেমন- কবি আবুল হোসেন, দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম, ভাষাসংগ্রামী ও লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ইতিহাসবিদ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম, ভাষাসংগ্রামী আবদুল মতিন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন, সাংবাদিক এবিএম মূসা, শিশুসাহিত্যিক এখ্লাসউদ্দিন আহ্মদ, মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণাদায়ী গানের রচয়িতা গোবিন্দ হালদার, জিনবিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম স্মরণে স্মৃতি-স্মারক স্থাপন করা হবে৷

তিনি বলেন, নজরুল মঞ্চকে ঘিরে নির্মিত শিশুকর্নারে থাকবে শিশু-কিশোর বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান৷ শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুকর্নারে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ প্রতিবারের মতো এবারেও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে নজরুল মঞ্চে৷মহাপরিচালক বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে এবং সোহরাওয়াদর্ী উদ্যানে৷ একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে দুটি লেখককুঞ্জ থাকবে৷

সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে গ্রন্থমেলায় মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশ্বর্ে৷ তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কতর্ৃপক্ষ গ্রন্থমেলায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এবার গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, তথ্যকেন্দ্রের সর্বশেষ খবরাখবর এবং মেলার মূল মঞ্চের সেমিনার প্রচারের ব্যবস্থা করবে৷ এছাড়া ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে মেলার উভয় অংশে৷

তিনি বলেন, মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সমপ্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার৷ এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মেলার তথ্যাদি প্রতিদিন সরাসরি সমপ্রচার করবে৷ এ ছাড়া এফ এম রেডিওগুলোও মেলার তথ্য প্রচার করবে৷ গ্রন্থমেলার খবরাখবর নিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বুলেটিন প্রকাশিত হবে৷ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিদিন মেলার তথ্য প্রচার করবে৷আর্চওয়ে দিয়ে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করতে হবে উলেস্নখ করে শামসুজ্জামান খান বলেন, মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীবৃন্দ৷ পাশাপাশি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে ৭৫টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা৷ মেলার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের একটি পথ এবং টিএসসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন দিয়ে মেলা থেকে বের হওয়ার দুটি পথ থাকবে৷ গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে৷তিনি বলেন, দুটি স্টল-ওয়ারি একটি অগি্ননির্বাপক যন্ত্র এবং প্রশিক্ষিত অগি্ননির্বাপক কর্মী থাকবেন৷ ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে স্টলের কর্মীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ স্বচছন্দে চলাফেরার সুবিধার্থে স্টলের সামনের চলাচল-পথে কমপক্ষে ২০ফুট করে উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়েছে৷ ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা সত্মম্ভ ও এর পাশর্্ববর্তী জলাধারকে নান্দনিকভাবে গ্রন্থমেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাতে স্বাধীনতার সত্মম্ভের আলোক-বিচ্ছুরণে মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে৷ এছাড়া ইতোমধ্যে বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা শহিদদের প্রতিকৃতি ও মহান ভাষা আন্দোলনের তথ্য সম্বলিত নানান স্মারকে মেলা প্রাঙ্গণকে একুশের চেতনায় সজ্জিত করা হয়েছে৷

মহাপরিচালক বলেন, গ্রন্থমেলা চলাকালে বাংলা একাডেমির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আনত্মর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকালের অধিবেশনে সৈয়দ শামসুল হক সাহিত্য সম্মেলনের ধারণাপত্র উপস্থাপন করবেন৷ এছাড়া সৃষ্টিশীল সাহিত্যের তিনটি বিষয়ে তিন দিনব্যাপী দুটি করে অধিবেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে৷ সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যনত্ম প্রথম অধিবেশন এবং বিকেল আড়াই’টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যনত্ম দ্বিতীয় অধিবেশন হবে৷ প্রতিটি অধিবেশনই অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে৷

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চিন, ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, ইকুয়েডরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার প্রায় ৪৮জন আনত্মর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাহিত্য-সমালোচক অংশগ্রহণ করবেন৷

অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যনত্ম প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার৷ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিস্মৃতপ্রায় বিশিষ্ট বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এ সেমিনারে৷ এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সাধারণ জ্ঞান, আবৃত্তি এবং উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে৷প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এবারের মেলা ইতিহাস সৃষ্টি করবে৷ এর কারণ, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বাড়ানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা, বেড়েছে প্রকাশক৷ আকার ও পরিধিতেও বেড়েছে এবারের বইমেলা৷ বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যোন- দুই জায়গাতে বইমেলা চলবে৷

মানুষ যেনো স্বস্তিতে উত্‍সবমূখর পরিবেশে বই কিনতে পারেন সে দিকটা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷বাংলা একাডেমির প্রধান এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এবারের বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়াজন করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেনসহ ১২টি দেশের ৪৮ জন সাহিত্যিক এতে অংশ নেবেন৷

শামসুজ্জামান খান বলেন, ভিন্ন আঙ্গিক ও পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা৷ কারণ, এ মেলাটি এখন একটি বৃহত্‍ জাতীয় উত্‍সবে পরিণত হয়েছে৷ তাই পরিসর বাড়াতে সময়ের দাবি পূরণ এবং আন্তর্জাতিক কাঠামোয় রূপ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেলা৷ তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হলেও একাডেমির সঙ্গে মেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷আর সোহরাওয়ার্দীতে মেলা আয়োজনও সফল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷