unnamed16

দৈনিকবার্তা-নাটোর, ২ ফেব্রুয়ারি: নাটোরে সকল প্রকার ভ্যাট ও কর মওকুফের দাবীতে জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ দাবী না মানা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ারও আল্টিমেটাম দিয়েছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সমিতির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির উপদেষ্টা ও তেবারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় জেলায় প্রায় ২শ’ ইট ভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৯৮ টি সমিতির আওতাভুক্ত। এসব ইট ভাটার শতকরা ৯০ ভাগ ভারত থেকে আমদানীকৃত কয়লার ওপর নির্ভরশীল। যেখানে গত মওসুমে এই কয়লার প্রতি টনের মুল্য ছিল ৬ হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা সেখানে চলতি মওসুমে কয়লার মূল্য হয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি মওসুমে নাটোর জেলায় প্রায় এক লাখ টন কয়লার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু নানা বিধি-নিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার কারণে এসব ইটভাটা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কোন কোন ইট ভাটায় আগুন দেওয়ার পরেও বন্ধ হয়ে গেছে। বারবার আবেদন করা সত্বেও দেশের একমাত্র দিনাজপুর বড়-পুকুরিয়া খনির কয়লাও নানা টাল-বাহানা করে ভাটা মালিকদের সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে জেলার ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ইট ভাটা শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রায় তিনশ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ইট ভাটা মালিকরা প্রায় নিঃস্ব হতে বসেছে। প্রতি বছর প্রতিটি ইট ভাটা মালিকদের কাস্টমস্ কতৃক নির্ধারিত ২,৪৭,৫০০ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। এ ছাড়াও ইট ভাটা মালিকদের প্রতি বছর ১১ টি খাতে রাজস্ব দিতে হয়। এ অবস্থাতেও কাস্টমস থেকে প্রতিনিয়ত ইট ভাটা মালিকদের বলা হচ্ছে ভ্যাট পরিশোধ না করলে সার্টিফিকেট মামলা করে আদায় করা হবে। এ অবস্থায় তাদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা সমতুল্য হয়েছে। সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সকল প্রকার ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করে ইট শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন। যদি তাদের দাবী না মানা হয় তাহলে পরবর্তীতে তারা ঘেরাও, স্মারকলিপি পেশ সহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।