Inu-620x330

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) বইমেলার প্রবেশপথে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর গাড়ি লক্ষ্য করে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুবর্ৃত্তরা৷ তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে৷বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এঘটনা ঘটে৷ এতে সেখানে থাকা জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তব্যরত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহবাগ হয়ে টিএসসির বইমেলার প্রবেশপথ দিয়ে যাচ্ছিল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর গাড়িটি৷ এসময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতর থেকে কে বা কারা দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়৷এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ৷বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ এতে সেখানে থাকা জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে এসময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ৷ অভিযোগ উঠেছে, ককটেল বিস্ফোরণের পর ওই দু’জন দৌঁড়িয়ে সেখানে গেলে পুলিশ তাদেরকে বিস্ফোরণকারী ভেবে আটক করে৷ আটককৃত একজনের নাম সুজন৷ অপরজনের নাম জানা যায়নি৷ এরা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহবাগ হয়ে টিএসসির বইমেলার প্রবেশপথ দিয়ে যাচ্ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷ এসময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতর থেকে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, বেলা পৌনে ২টার দিকে পতাকাবাহী একটি গাড়ি টিএসসি হয়ে বাংলা একাডেমির দিকে যায়৷ গাড়িটি যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেখানে পরপর দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷

বিস্ফোরণের সময় টিএসসিতে উপস্থিত লোকজন দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়৷তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবংমুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করছে বলে ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন৷দুজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷সাধারণত মন্ত্রী ও তাদের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা এবং বিচারপতিদের গাড়িতে সুপ্রিম কোটের্র পতাকা থাকে৷তবে ওই গাড়িতে কোন পতাকা ছিল তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি কেউ৷ঘটনার আধা ঘন্টাখানেক পর শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন বলে সেখানে উপস্থিত প্রতিবেদক জানান৷

বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান অবরোধ-হরতালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগি্নসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে৷প্রায় এক মাসের অবরোধে এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন৷