Gulshan1-thereport24

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা সোমবার গুলশান-২ নম্বর চত্বরে অবস্থান নেয়৷ খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে সরকার সমর্থিত সংগঠন শ্রমিক লীগের নেতারা হুমকি দিয়েছেন, অবরোধ তুলে নেওয়া না হলে ওই কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়বেন তারা৷সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কাছে এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচির পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এই হুমকি দেন৷

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বলছি, এখনও সময় আছে, দয়া করে অবরোধ ও হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিন৷ এই আহ্বানে সাড়া না দিলে শ্রমিক লীগের কর্মীরা আপনার কার্যালয়ে ঢুকে পড়বে৷ তখন আপনি তাদের ঠেকাতে পারবেন না৷সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে এসে গুলশানে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিক লীগের সদস্যরা৷ সেখান থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে আগাতে থাকলে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে পুলিশ তাদের সামনে ব্যারিকেড দেয়৷

সেখানেই অবস্থান নিয়ে, হরতাল-অবরোধের নাশকতায় মানুষ হত্যা, গাড়িতে পেট্রোলবোমা হামলা-অগি্নসংযোগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন থাকে৷পরে ১২টার দিকে আবারো শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে কার্যালয় অভিমুখে যেতে থাকলে, কার্যালয়ের ৫০ গজ দূরে তাদেরকে আটকে দেয় পুলিশ৷ এখন পর্যন্ত তারা সেখানে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷শিগগিরই জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে বলে জানান তিনি৷গত এক মাস ধরে বিএনপির অবরোধ-হরতালের মধ্যে এর আগে পরিবহন শ্রমিক লীগের পাশাপাশি দিনমজুর ও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ওই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান-মানববন্ধন করে৷

টানা অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি চেয়ারপারসন গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন৷ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৮৬ নম্বর সড়কের মোড়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে৷তারা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি শেখ হাসিনা এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে স্লোগানও দেয়৷এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে খালেদার কার্যালযের অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে পুলিশ তাদের আটকে দেয়৷ তখন সেখানে বসেই সমাবেশ করে তারা৷

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সহসভাপতি আহমেদ ফারুক, ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ৷তারা সহিংস রাজনীতির জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান৷

সারাদেশে বাসে- ট্রেনে পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যার চিত্র তুলে ধরে শুক্কুর মাহমুদ বলেন, এখনও সময় আছে, ধ্বংসাত্মক পথ থেকে সরে আসুন৷ নইলে এর পরিণতি শুভ হবে না৷

জাতীয় শ্রমিক লীগের এই কর্মসূচিতে ডেসকো শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ টিএন্ডটি শ্রমিক লীগ, পল্লী বিদু্যত্‍ শ্রমিক লীগ, টিএন্ডটি ইউনিট ফোরাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী লীগের ব্যানার দেখা গেছে৷ কর্মসূচিতে আসা অনেকের হাতে লাঠি ও জুতা ছিল৷শ্রমিক লীগের কর্মীদের বাস, ট্রাকে করে গুলশানে নিয়ে আসা হয়৷ এরপর তারা মিছিল করে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে যান৷