dddd1

দৈনিকবার্তা-ফরিদপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি: ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে বিশ^ওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী ছাহেবের ৪ দিনব্যাপী মহাপবিত্র বিশ^ উরস শরীফ আগামী ১৪,১৫,১৬ ও ১৭ ফ্রেরুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিকামী মানবতার বিশ^ মহামিলন মেলার সার্বিক আয়োজনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নান্দনিক সাজে সজ্জিত হচ্ছে বিশ^ জাকের মঞ্জিল। ১৯৫৩ সালে শুরু হওয়া উরস শরীফ আজ বিশ^ব্যাপী শান্তিকামী মানবতার মহা মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। উরস শরীফ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই মূল ভেন্যুর ২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এবাদত বন্দেগী, আহার, বিশ্রাম, চিকিৎসা সেবা, গাড়ী পার্কিং, অগ্নি নির্বাপন,নিরাপত্তা ও যোগাযোগ সুবিধাসহ সার্বিক আয়োজনে ৫৮টি ডিপার্টমেন্ট একযোগে কাজ করছে। বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মাহ্ফুযুল হক মুজাদ্দেদী ছাহেব ও পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেব সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারক ও পরিচালনা করছেন।

দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে চলা চূড়ান্ত প্রস্তুতি কাজে হাজার হাজার কর্মী ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে দিন রাত অক্লান্ত কাজ করছেন। এবাদত, বন্দেগী ও বিশ্রামের জন্য বিশাল বিশাল অসংখ্য প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে। একই সাথে অন্দর মহলে পর্দার আড়ালে ৫ লাখ মহিলার এবাদত বন্দেগী, আহার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিদেশী মেহমানদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বরাবরের ন্যায় অন্য ধর্মাবলম্বী ৫ লাখ মানুষের জন্য পৃথক পৃথক বিশাল কম্পাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। ওজু ও পয়ঃপ্রনালির জন্য পর্যাপ্ত পানি, ৪ হাজার টয়লেট এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে আরো ৬ হাজার টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এর সাথে তাল রেখে সুসজ্জিত বেশ কিছু তোরণও নির্মাণ করা হয়েছে। ভাত, গোশত ও ডাল রান্নার জন্য পৃথক পৃথক বিশাল বিশাল পাকশালা, কোরবানী শালা ও খাবার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। ২ লাখ মুসল্লি এক সাথে খাবার মাঠে বসে খাবার খেতে পারবেন। ২ লক্ষাধিক কর্মী এ সব ডিপার্টমেন্টে নিয়োজিত থাকবেন।

নিরাপত্তায় ৩ শতাধিক সিসি টিভি ক্যামেরা, ৩৬ টি আর্চওয়ে গেট, ৫ শতাধিক হ্যান্ড হেল্ড ম্যাটাল ডিটেক্টর, ও সমসংখ্যক ওয়াকিটকি, ৪৮ টি অবজারবেশন পোষ্ট, ২ হাজার সার্চ লাইট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া অগ্নি নির্বাপনে দমকল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩২ টি সুবিশাল কার পার্কিং নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার কর্মী প্রবেশ সড়কগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। কাওরাকন্দি, বলাশিয়া, চন্দ্রপাড়া সহ ৪ টি নৌ বন্দরে নৌ পথে আগতদের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং মাওয়া-কাওরাকান্দি ফেরিঘাটেও ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য হেলিপ্যাড রাখা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ৫০০ কিলোওয়াটের ১০ টি জেনারেটর স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। ২ সহ¯্রাধিক লাউড স্পীকার ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে এবাদত বন্দেগী, ওয়াজ নসিহতের কাজ চলবে। চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিতে হাসপাতাল, ভ্রাম্যমান মেডিকেল ইউনিট, এম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। এছাড়া মিডিয়া সেন্টার ও বিপুল সংখ্যক বুক স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।