মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি: ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসী, বোমাবাজ ও জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত হবে।তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা অবরোধ ও হরতালে দেশের মানুষ সাড়া প্রদান না করলেও তিনি গায়ের জোরে এসব কর্মসূচি দিচ্ছেন।বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, হরতাল অবরোধের নামে সন্ত্রাসী, বোমাবাজ ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে উস্কে দিয়ে খালেদা ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছেন।

তিনি বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ১নং গেটের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের লাগাতর অবরোধ এবং হরতালের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জোটের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, দফতর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকর পরিচালক কাজী মোর্শেদ কামাল ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক জোবায়দুল হক রাসেল প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্নয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেত্রীকে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মায়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। দেশের মানুষ বিএনপির কোন কর্মসূচিতে সাড়া না দিলেও গায়ের জোরে তিনি হরতাল দিয়েই যাচ্ছেন।তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী এখন আর দেশনেত্রী নেই। তিনি সন্ত্রাসী বোমাবাজ আর জঙ্গিদের নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। নিরীহ মানুষের রক্তে তার হাত রঞ্জিত।

তিনি আরো বলেন, তিনি (বেগম জিয়া) এখন বিএনপির জন্য আপদ আর দেশের মানুষের জন্য বিপদে পরিণত হয়েছেন। তার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।মানববন্ধন শেষে জোটের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট, জিপিও হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।