14-02-15-Romna Park_Valentines Day-17

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি: বছর ঘুরে ১৪ ফব্রে“য়ারি দনিটি আমাদরে ভালোবাসায় রাঙয়িে গলেওে, ভালোবাসা কন্তিু প্রতদিনিরে। জীবনরে গতি নর্ধিারণ করে ভালোবাসা। মানুষ বঁেচে থাকে ভালোবাসায়। ভালোবাসা পৃথবিীর সবচয়েে মধুর কোমল দুরন্ত মানবকি অনুভূত।ি ভালোবাসা নয়িে ছড়য়িে আছে কত কত পৌরাণকি উপাখ্যান। সাহত্যি-শল্পি-সংস্কৃতি র্সবত্রই পাওয়া যায় ভালোবাসার সন্ধান। আর তাই ১৪ ফব্রে“য়ারি মানইে প্রজন্মরে কাছে একটি কাঙ্ক্ষতি দনি। দুনয়িাজুড়ে দনিটকিে অত্যন্ত আগ্রহ ও আনন্দরে সঙ্গে পালন করা হয়ে থাক।ে তারুণ্যরে অনাবলি আনন্দ আর বশিুদ্ধ উচ্ছ্বাসে সারা বশ্বিরে মতো আমাদরে দশেওে দনিটি নয়িে থাকে প্রচুর মাতামাত।ি

১৯৯৩ সালরে দকিে আমাদরে দশেে ভালোবাসা দবিসরে আবর্ভিাব ঘট।ে সাংবাদকি ব্যক্তত্বি শফকি রহেমান পড়াশোনা করছেনে লন্ডন।ে পাশ্চাত্যরে রীতনিীততিে তনিি ছলিনে অভ্যস্ত। দশেে ফরিে তনিইি ভালোবাসা দবিসরে শুরুটি করনে। এ নয়িে অনকে ধরনরে মতবরিোধ থাকলওে শষে র্পযন্ত শফকি রহেমানরে চন্তিাটি নতুন প্রজন্মকে বশেি আর্কষণ কর।ে সে থকেে এই আমাদরে দশেে দনিটরি শুরু।

দবিসটি পালনরে আগইে হরতাল-অবরোধ শুক্রবার ঢাকার সব গফিট শপে ছলি তরুণ-তরুণীদরে ভড়ি। ফুল, চকলটে, কবতিার বই, অ্যালবাম, পোশাক-আশাকসহ নানা ধরনরে উপহারসামগ্রীর চাহদিা ছলি বশে। শুক্রবার ছলি পয়লা ফাল্গুন, বসন্তরে প্রথম দনি। ফাল্গুনরে প্রথম দনি আর ভালোবাসা দবিস পাশাপাশি দনিে হওয়ায় এবার দবিসটরি আমজে আরো বশেি গাঢ় বকৈ।িভালবাসার দনিটতিে মুঠোফোন,ে ফসেবুক,ে টুইটারে শুভচ্ছো বনিমিয় চল।ে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় এলাকা, চারুকলা, ধানমন্ডরি রবীন্দ্রসরোবর, সংসদ ভবন চত্বর, সোহরাওর্য়াদী উদ্যান, রমনা বটমূল, চন্দ্রমিা উদ্যান মুখর ছলি সারা দনি।দনিটি শুধুই ভালোবাসার। হৃদয়রে সঙ্গে হৃদয়রে মলেবন্ধনরে দনি। প্রয়ি মানুষটকিে আরো বশেি কাছে পাওয়ার, আরো বশেি ভালোবাসার জানার ও বোঝার দনি। প্রমেকি- প্রমেকিারা মন খুলে বলবে তাদরে হৃদয়রে কথা।

সখী, ভাবনা কাহারে বল।েসখী, যাতনা কাহারে বল।েতোমরা যে বলো দবিস-রজনী ভালোবাসা ভালোবাসা সখী, ভালোবাসা কারে কয়! বহু বছর আগে কবগিুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবইে ভালোবাসার র্অথ খুঁজছেলিনে। কারণ, ভালোবাসার র্অথ যে গভীর দ্যোতনাময়।ইতহিাসরে পাতায় র্স্বণাক্ষরে লখো ‘সন্টে ভ্যালন্টোইনস ড’ে। প্রমেপয়িাসী হূদয়রে কাছে বশিষে গুরুত্ব আছে এ দনিটরি। বছররে এ দনিকে সারা বশ্বিরে তরুণ-তরুণীরা বছেে নয়িছেে হূদয়রে ব্যাকুল কথার কলি ফোটাত।ে

তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সরে মানুষরে ভালোবাসার বহুমাত্রকি রূপ প্রকাশ করার আনুষ্ঠানকি দনি আজ। এ ভালোবাসা যমেন মা-বাবার প্রতি সন্তানরে, তমেনি মানুষ-েমানুষে ভালোবাসাবাসরি দনিও এট।ি শুধুমাত্র একটি দনি ভালোবাসার জন্য কনে এ পপ্রশ্নর জবাবে কবি মোহাম্মদ রফকিরে ছোট জবাব ভালোবাসা একটি বশিষে দনিরে জন্য নয়। সারা বছর, সারা দনি ভালোবাসার। তবে আজকরে এ দনিটি ভালোবাসা দবিস হসিবেে বছেে নয়িছেে মানুষ।

বাংলাদশেে ভালোবাসা দবিস পালনরে রীতি খুব বশেি দনিরে নয়। মূলত তরুণ-তরুণীদরে মধ্যে দবিসটি ঘরিে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বসন্তরে প্রথম দনি গলে গতকাল, আজ ভালোবাসার দনি। দুটি দনিই তাদরে মধ্যে আনন্দরে, উৎসবরে। শুধু তারুণ্যই নয়, প্রৌঢ় থকেে শুরু করে শশিু, কশিোর, মধ্যবয়সীদরে মধ্যে ছড়ড়িে পড়ে এর আবহ।বশ্বি ভালোবাসা দবিস বা ভ্যালন্টোইন ডে পালনরে রীতটিা মূলত ইউরোপীয় ঘরানার। আমাদরে দশেে বগিত প্রায় দড়ে দশক আগে এ দবিস পালনরে সূচনা হয়। তবে বাঙালি সংস্কৃততিে বসন্ত উৎসব সইে অনাদকিাল থকেইে যাপতি হচ্ছ।ে সনাতন র্ধমাচারীরা দোলযাত্রা, বাসন্তী পূজা, হোলি উৎসবে প্রণয়কে মুখ্য করে রখেছেলি, তরুণ-তরুণীর ভালোবাসাকে আপন করছেলি। আর এখন ভ্যালন্টোইন ডে এ দশেরে তরুণ-তরুণীদরে মধ্যে রূপ পায় এক বরিাট উৎসব।ে

স্মৃতরি পাতায় ভালোবাসার দবিস: ভালোবাসার গল্পটি শুরু হয়ছেলি সইে ২৬৯ খ্রস্টিাব্দ।েরোমরে চকিৎিসক তরুণ যাজক সন্টে ভ্যালন্টোইনরে চকিৎিসায় দৃষ্টি ফরিে পয়েছেলি নগর জলোররে দুহতিা। পরে দুজনরে মধ্যে মন দয়ো-নয়ো হয়। সইে থকেে জন্ম নয়িছেলি তাদরে ভালবাসার অমরগাথা। ভালবাসার অপরাধে সন্টে ভ্যালন্টোইনকে ফাঁসতিে ঝুলতে হয় ফব্রে“য়াররি এই ১৪ তারখি।ে তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পতেে দুই শতাব্দী নীরব-েনভিৃতে পালন করতে হয়ছেে ১৪ ফব্রে“য়ারকি।ে

৪৯৬ খ্রস্টিাব্দে রোমরে রাজা পপ জলেুসয়িাস এই দনিটকিে ভ্যালন্টোইন দবিস হসিবেে ঘোষণা করনে। গ্রকি ও রোমান উপকথার মতই ভালোবাসা দবিসরে উৎপত্তি নয়িে আরো গল্প-কাহনিী ছড়য়িে আছে ভুবনজুড়।ে কে এই ভ্যালন্টোইন তাও রহস্যাবৃত।ক্যাথলকি এনসাইক্লোপডিয়িা অনুসারে আমরা তনিজন সন্টে ভ্যালন্টোইন বা ভ্যালন্টেনিাসরে সন্ধান পাই। তারা সবাই ১৪ ফব্রে“য়ারতিে আত্মদান করনে। দশেে দশেে ভালোবাসা দবিস: উনশি শতকইে উত্তর আমরেকিায় ভ্যালন্টোইন ডে পালতি হয় ব্রটিশি অভবিাসীদরে মাধ্যম।ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালন্টোইন র্কাড বনিমিয় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়টেসরে অরকস্টোর।ে ইতহিাসবদিদরে ভাষায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থকেে এই উৎসবরে সূত্রপাত।

চীনে ভালোবাসা প্রকাশরে সমৃদ্ধ ইতহিাস রয়ছে।ে ভ্যালন্টোইন ডে পালনরে আগে তারা বছররে দুই দনি পালন করতো ভালোবাসা দবিস। এখন তো চীনে ব্যাপক হারে দবিসটি পালতি হয়। পশ্চমিা ধাঁচে ১৪ ফব্রে“য়ারইি তারা ভালোবাসা দবিস পালন কর।েইউরোপরে সব দশেইে মহাসমারোহে তরুণ-তরুণীরা এ দবিস পালন কর।ে র্মাকনিদিরে মধ্যে ভ্যালন্টোইন ডে পালনরে হার বশে।ি জরপিে দখো গছে,ে চার র্মাকনিরি মধ্যে তনিজনই দবিসটি পালন কর।ে আমরেকিায় এ দনিে ১৬ কোটি র্কাড, ১৩ কোটি গোলাপ বনিমিয় হয়।

ভারতওে ভালোবাসা দবিস পালতি হয় উৎসবরে আমজে।ে তবে আমাদরে দশেরে মতো ভারতওে তরুণ-তরুণীরা এ দবিস পালন করে বশে।িএকহাতে বই আর লাল গোলাপ। অন্যহাতে প্রয়িজনরে হাত। ফুল, বই আর ভালোবাসা এ যনে একই সূত্রে গাঁথা।

একগুচ্ছ লাল গোলাপরে সঙ্গে নতুন বই তুলে দয়িে ডয়িজনকে অনকেইে খুশি করছেনে বসন্তরে হলুদছোঁয়া ভালোবাসায়। শুধু লাল গোলাপ আর বইয়রে মধ্যইে সীমাবদ্ধ ছলিো না বইমলোর ভালোবাসা দবিসরে আমজে। মলোয় আসা প্রায় প্রত্যকেরেই সাজে ছলি ভালোবাসার রঙরে ছোঁয়া।

শনবিার ভালোবাসা দবিসরে বকিলেে অমর একুশে গ্রন্থমলোয় এমন চত্রিই দখো যায়।তরুণীরা বাসন্তী, লাল রঙরে শাড়,ি খোঁপায় হলুদ গাঁদা, লাল গোলাপ ফুল আর হাতে রনিঝিনিি কাচরে চুড়।ি কউে বা কপালে লাগয়িছেলিনে লাল টপি। ভালোবাসার রঙে রঙনি এসব তরুণীর সঙ্গে বমোনান লাগছলি না তরুণদরেও। কারণ তারাও তো সজেছেলি ভালোবাসার রঙ।ে লাল পাঞ্জাব,ি ফতুয়া বা কালো রঙরে র্শাট পরে প্রয়িজনরে হাত বাহুতে নয়িইে মলোয় ঢুকছেনে তরুণরা। তাদরে এ আগমন শুধু ভালোবাসার আবগেে ছুটে চলা ছলিো না। ফলে বচোবক্রিওি বশে হয়ছে।ে বকিাল থকেইে মলোয় নামে বইপ্রমেীদরে ঢল।

আগরেদনি পহলো ফাল্গুন আর পররেদনি বশ্বি ভালোবাসা দবিস— সবমলিয়িে এ দু’দনিরে বচোবক্রিি নয়িওে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দখো গছেে প্রকাশকদরে।একে তো ছুটরি দনি, অন্যদকিে ভালোবাসা দবিস। এ যনে একরে ভতের দুই। অবরোধ তাতে ক!ি উৎসবপ্রয়ি বাঙালরি ঘর ছড়েে বরে হতে আর কী লাগ?ে

বকিলেে দখো যায়, শাহবাগ থকেে বইমলো, ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় থকেে সোহরাওর্য়াদী উদ্যান, শহীদ মনিার হয়ে দোয়লে চত্বর অবধি পুরো এলাকা যনে জনসমুদ্র। আর ওই উত্তাল স্রোত ভসেছেে ভালোবাসার আবাহন।ে মলোর দুই ভন্যেু বাংলা একাডমেি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে মানুষরে যনে বান নমেছে।েমাওলা ব্রার্দাসরে প্রকাশক আহমদে মাহমুদুল বলনে, দশেরে রাজনতৈকি এমন অবস্থার মধ্যে মলোয় যে ঢল নমেছেে গতকাল শুক্রবার ওশনবিার) তা অবাক করার মতো।

তনিি বলনে, মলোয় যারা আসনে তারা সবাই যে বই কনিবনে প্রকাশকরা এমন আশাও করে না। তবে র্দশর্নাথী বাড়লে বক্রিওি বাড়।ে মলোটা জমজমাট দখেতে কার না ভালো লাগ।ে মলোয় আগত অনকেইে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেনে। শনবিার মলো চলবে যথারীতি রাত সাড়ে ৮টা র্পযন্ত।

সোহরাওর্য়াদী উদ্যান থকেে বরেয়িে একাডমেি প্রাঙ্গণে ঢুকইে চোখে পড়ে ক্রতো ও র্দশর্নাথীদরে ভড়ি। সোহরাওর্য়াদী উদ্যান মানুষরে জন্য হা-পত্যিশে করলওে বাংলা একাডমেি প্রাঙ্গণ কানায় কানায় র্পূণ।তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, কশিোর-কশিোরী, শশিু ও বয়স্ক মানুষ একাডমেি প্রাঙ্গণে ভড়ি জময়িছে।ে কনোর মতো কোনো বই বা বইয়রে প্রকাশনী মলোর এ অংশে না থাকলওে মোহাবষ্টিরে মতো সবাই এখানইে ভড়ি পাকাচ্ছনে। ঘুরছনে-ফরিছনে, ছবি তুলছনে, গল্প আড্ডায় সময় পার করছনে। ক্ষুধা লাগলে খয়েে নচ্ছিনে বাংলা একাডমেরি ক্যান্টনি।ে

মরিপুর থকেে মলোয় আসা শুক্লা দাস বলনে, বাংলা একাডমেি প্রাঙ্গণ আর অমর একুশে গ্রন্থমলো একসূত্রে গাঁথা।কোনোদনি যদি পুরো মলোটা অন্যত্র স্থানান্তরতি হয়, সদেনি দখেবনে মলোর আবদেনটা কমে গছে।েএদকি,ে প্রমে-ভালোবাসা কি মুষ্টমিয়ে কয়কেজনই পাব?ে না সবাই সমান তালে ভালোবাসার রঙে রঙ্গনি হব।ে সবাই তো মানুষ। তাহলে এ বষৈম্য কনে?

আর এ বষৈম্য দূর করতে ১৪ ফব্রে“য়ারি বশ্বি ভালোবাসা দবিসরে দুপুরে চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয় (চব)ি সঙ্গিলে ঐক্য পরষিদরে পক্ষ থকেে ভালোবাসার র্ধমঘট ও বক্ষিোভ মছিলি বরে করে বষৈম্যরে শকিার প্রমে বঞ্চতি প্রতবিাদীরা।

এসময় ‘সঙ্গিলে আসছ,ে ক্যাম্পাস কাঁপছ;ে কউে পাবে তো কউে পাবে না, তা হবে না, তা হবে না- এমন সব ¯¬োগানে প্রমে বঞ্চতি বদ্রিোহীরা মুখরতি করে তোলে চবি ক্যাম্পাস।মছিলিটি ক্যাম্পাসরে বভিন্নি সড়ক প্রদক্ষণি শষেে শহীদ মনিার চত্বরে সমাবশেে মলিতি হয়। তাদরে এ র্কমসূচতিে শতাধকি প্রমেবঞ্চতি যুবক অংশ নয়ে।