অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন এ মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। দেশের চলমান পরিস্থিতি ঠিক করার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে এ সময় জানান মন্ত্রী।সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।তিনি বলেন, একজন মহিলা দেশকে জিম্মি করে রেখেছেন। দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন। এভাবে দেশ চলতে পারে না, স্বাভাবিক করার দায় বিএনপির। আর বিএনপি জানে কীভাবে দেশ স্বাভাবিক করতে হবে।অর্থমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হরতাল-অবরোধ সহিংসতার ঘোষণা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্লিজ উইড্রো করুন, এটি ডিজাস্টার। জেলা পর্যায় অর্থনৈতিকভাবে ডিসফাংশনাল কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নো ডিসফাংশনাল। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ার কারণে ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে।

চলমান সহিংসতায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সবজি বিক্রোরা পথে বসে গেছে। আর পোশাক খাতের ক্রেতাদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে দেশের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাস্তায় যানজট দেখা যাচ্ছে। এখনও পুরো ফ্রি হয়নি।সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, চলমান হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এ মাসের শেষের দিকে হিসেব-নিকেষ করা হবে।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসীদের রাণী আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অভিযোগ করেন, তার নির্দেশে সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও গুপ্ত হামলা চলছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া একস্থানে বসে নাশকাতমূলক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর তার গুণ্ডা-পাণ্ডারা সারাদেশে সন্ত্রাস করছে। তারা তাদের নেত্রীর নির্দেশে গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে। তিনি এখন সন্ত্রাসীদের রাণীতে পরিণত হয়েছেন।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এখন দেশেরও শত্র“ তাই দেশবাসীর উচিত খালেদা জিয়াকে পরিহার করা।অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটা সন্ত্রাসী আন্দোলন। খালেদা বাসায় বসে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আর তার ঘোষণায় দলের কিছু গুণ্ডা-পাণ্ডা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে খালেদা এখন সন্ত্রাসীদের রানীতে পরিণত হয়েছেন।খালেদা জিয়াকে দেশের শত্র“ হিসেবেও আখ্যা দিয়ে তাকে পরিহার করা দেশের জনগণের উচিত বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।