kushtia-inu-pic-by-sm-jamal-24-1-15

দৈনিকবার্তা-ভোলা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বায়ান্ন, একাত্তর এবং নব্বই সালে যেভাবে বাঙালী জাতি বিজয়ী হয়েছে, ২০১৫ সালেও আগুন-সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের বিরম্নদ্ধে জাতি বিজয়ী হবে, তাদের একচুল ছাড় দেয়া হবে না৷

বুধবার ভোলা জেলার চর ফ্যাশনে কমিউনিটি রেডিও মেঘনা উদ্বোধনের পর স্থানীয় ব্রজগোপাল মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন৷মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তথ্য অধিকার সমপ্রসারণ ও প্রানত্মিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে কমিউনিটি রেডিও প্রবর্তন করেছে, তা আজ কন্ঠস্বরহীনদের কন্ঠ হিসেবে কাজ করছে৷ রেডিও মেঘনা চরাঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি, নিজস্ব ভাবনা ও অর্জিত জ্ঞান সকলের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী৷

সকালে কোস্ট ট্রাস্ট পরিচালিত কমিউনিটি রেডিও মেঘনা তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদের সমপ্রচার শুরম্ন করে৷ বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আকতার উদ্দিন আহমেদ, এ্যাকশন এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, অঙ্ফাম দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নীতিবিশেষজ্ঞ জিয়াউল হক মুক্তা, বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী বজলুর রহমান প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন৷কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহান স্বাধীনতা দেশের উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার খুলে দিয়েছিল৷ কিন্তু বাঙালী জাতি যখনই এগুতে চেয়েছে, তখনই মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নবিরোধী কিছু অপশক্তি আমাদের পিছু টেনে ধরেছে৷ দেশ-উন্নয়ন-শাসত্মির বিরোধী এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে আমাদের অগ্রযাত্রায় সকলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য৷
হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন দেশের প্রধান সমস্যা নয়৷ অতীতেও নির্বাচন হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে৷ গণতন্ত্রের প্রধান সমস্যা হচ্ছে জঙ্গিবাদী শক্তি৷মন্ত্রী বলেন, দেশে যে আগুন-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী-নাশকতা চলছে, তার প্রত্যক্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান৷ যারা আগুন-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী-নাশকতার সাথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পার্থক্য আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন, তারা হয় অন্ধ, না হয় জ্ঞানপাপী৷ আগুন-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী দানবদের সম্পূর্ণ পরাজিত ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করার পরই কেবল রাজনীতি ও অন্যান্য বিষয় আলোচনা সম্ভব৷