দৈনিকবার্তা-সংসদ ভবন, ২ মার্চ, ২০১৫: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ১৪ জন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের মাসিক বেতন বাবদ ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, এইসব চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় বোর্ডের মাসিক বেতন কাঠামোভূক্ত ‘এ+’ গ্রেডের ৪ জন খেলোয়াড়ের প্রতিজনের মাসিক বেতন ২ লাখ টাকা, ‘এ’ গ্রেডের ১ জন খেলোয়াড়ের মাসিক বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ‘বি’ গ্রেডের ৩ জন খেলোয়াড়ের প্রতিজনের মাসিক বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ‘সি’ গ্রেডের ৩ জন খেলোয়াড়ের প্রতিজনের মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা এবং ‘ডি’ গ্রেডের ৩ জন খেলোয়াড়ের প্রতিজনের মাসিক বেতন ৬০ হাজার টাকা। মন্ত্রী বলেন, বোর্ডের এই সকল ক্রিকেট কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অথবা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা বা ফান্ড প্রদান করে না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এবং স্থানীয় মিডিয়া রাইটস ও টিম স্পন্সরসহ অন্যান্য স্পন্সর থেকে অর্জিত অর্থ দ্বারা বোর্ডের সার্বিক ক্রিকেট কার্যক্রম পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। বীরেন শিকদার বলেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি বাবদ ২ লাখ টাকা, একদিনের ম্যাচ (ওডিআই) প্রতিজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি বাবদ ১ লাখ টাকা এবং টি ২০ মাচ প্রতিজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি বাবদ ৭৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত প্রথম শ্রেণীর (লংগার ভার্সন) জাতীয় লীগে অংশগ্রহণ বাবদ প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ম্যাচ ফি প্রদান করা হয়। একটি আর্থিক বছরে মাসিক বেতন, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ ফি অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় গড়ে ৫০-৬০ লাখ টাকা আয় করে থাকে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নকল্পে নিয়োগকৃত শুধু বিদেশী কোচের বেতন ভাতাদি বাবদ মাসিক আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া বিভিন্ন ক্রিকেট সিরিজ ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে গত আর্থিক বছরে আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বোর্ড কর্তৃক নির্বাহ করা হয়। সরকারি দলের সদস্য মনোয়ারা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে বীরেন শিকদার বলেন, বর্তমানে দেশে ৭টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি বলেন, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা; খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, নারায়ণগঞ্জ; বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম; শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা; বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আঃ রউফ স্টেডিয়াম, সিলেট এবং শেখ কামাল স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জ।
