DoinikBarta_দৈনিকবার্তা11_130738দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র পরমত সহিষ্ণুতা চর্চার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।তিনি বলেন, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সকল প্রার্থীকে ভোটারদের রায় মেনে নেয়ার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।সোমবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলল প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এ কথা বলেন।নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তি বন্ধে প্রার্থীদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, কমিশন চায় এই অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। এ জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে লক্ষ্যেই এবার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিনেয়া হয়েছে।কোনভাবেই ভোটকেন্দ্রে বেআইনি কাজ করতে দেয়া হবে না। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড় দেয়া হবে না।ইতোমধ্যে নির্বাচনী আইন ভঙ্গের দয়ে প্রার্থীদের ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে সিইসি বলেছেন, প্রার্থীরা যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়।

প্রার্থীদেও উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রতিটা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।আইন নিজের হাতে তুলে নিজেকে বিপদগ্রস্ত করবেন না।আপনাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানাবেন। কমিশন যাছাই করে ব্যবস্থা নেবে। কারো মুখ দেখে নয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।হলফনামায় মিথ্যা তথ্যদানকারীদের উদ্দেশে কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, কেউ হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে রক্ষা নেই। নির্বাচনের আগে ও পরে তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়া হবে।ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন এবং ভোটকেন্দ্রে বেআইনি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর,দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ স্বচ্চ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রে প্রার্থী এজেন্ট, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সামনেই ভোট গণনা করা হবে।তিনি বলেন, আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সেনা মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।আইন-নিয়মনীতি মেনে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি নির্দেশ দেন।সভায় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, জাবেদ আলী ও মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্তি সচিব মোখলেচুর রহমান, যুগ্ম সচিব জেসমীন টুলী,ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানান মিয়া, বিভাগী কমিশনার মো. জিল্লার রহমান ও ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।সভায় মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরেন।আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে