1429370853

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ এপ্রিল: নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনদিন হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেনামোতায়েননিয়ে নির্বাচন কমিশন-সরকার কৌশলী ভূমিকায় বলেও অভিযোগ বিএনপির।বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড.আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেয়ায় দফায় দফায় সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় বেগম জিয়ার নিরপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ও উদ্বিগ্ন বিএনপি।

তাই বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কৌশলের আশ্রায় নিয়েছে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার উপর সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একচোখা নীতি অবলম্বন করে চলছে। তাই খালেদা জিয়া ও সিটি নির্বাচনে ২০ দল সমর্থিত মেয়র, কাউন্সিলদের উপর হামলার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং খালেদা জিয়া ও মির্জা আব্বাসকে চিঠি ইস্যু করে সতর্ক করছে।তিনি বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সিটি নির্বাচনে থাকবে। হামলা মামলা করেও কোনো লাভ হবে না। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবং নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে আমাদের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত।রিপন বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি। নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পরপর ৩ দিন হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। তার গাড়ি বহরে সরকার দল সমর্থিতরা প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে হামলা চালিয়েছে। যা এদেশের মানুষ দেখেছে।

এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন আসাদুজ্জামান রিপন। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকার কৌশলী ভূমিকায় বলেও অভিযোগ বিএনপির।রিপন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে অংশ নিয়ে সরকার দল সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাতে খালেদা লাঞ্ছিত হয়েছেন। তাই খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ও উদ্বিগ্ন বিএনপি। এজন্য খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।আন্তর্জাতিক বিষয়ক এ সম্পাদক বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম প্রতিটি কেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়ন করতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা আছে। কিন্তু সরকারের নেই।তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন এক চোখা নীতি নিয়ে চলছে। তাদের চোখে কিছু দেখছে না। যেখানে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেখানে না নিয়ে অন্য জায়গায় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি এমন দাবি করে রিপন বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। যেখানে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের রাস্তায় ফেলে মারা হয়। সেখানে সরকারের উচিত তার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর জন্য নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপর হামলা করে সরকারের এক পয়সার লাভবান হয়নি। লাভবান হয়েছে বিএনপির। সরকার চেয়ারপারসনের ওপর হামলা করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।রিপন অভিযোগ করে বলেন, সাঈদ খোকন ভিকারুন্নেছা স্কুলে পুলিং অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের হাতে লিফলেট দিয়ে তারপক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন।বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা সিটিতে অনেক রাষ্ট্রদূতের অফিস রয়েছে। তারা এনির্বাচন পর্যবেক্ষন করছেন। এই নির্বাচনে সরকার যদি কারচুপি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তো সন্দেহ আছেই। শেষ পযর্ন্ত সরকার এই নির্বাচন করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তারা ধরে নিয়েছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় বের হবেন কিনা তাদের ভোদগম্য ছিলো না।সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয় হবে জেনে সহিংসতা শুরু করছে তারা। সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সিটি নির্বাচনে থাকবে। হামলা মামলা করেও কোনো লাভ হবে না। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবং নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে আমাদের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামিমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।