Khokon1430278611
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ এপ্রিল: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোর্শেদ আজ ভোর সোয়া ৫টায় এই ফলাফল ঘোষণা করেন।  এই সিটির ৮৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হওয়া ৩টি কেন্দ্র বাদ দিয়ে ৮৮৬টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সাঈদ খোকনের প্রাপ্ত ভোট এই তিন কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে বেশি হওয়ায় কমিশন তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। ঘোষিত ফলাফলে ইলিশ মাছ প্রতীক নিয়ে সাঈদ খোকন পেয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট। স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৬।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাস উদ্দিন মগ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট।  সাঈদ খোকন মির্জা আব্বাসের চেয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ‘মাছ’ প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯৯৪ সালে মির্জা আব্বাসকে পরাজিত করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সাঈদ খোকনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ।  গতকাল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণে মেয়র পদে ২০ জন, সাধারণ কাউন্সিল পদে ৩৯০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৭টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৯টি। এখানে ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬জন, নারী ভোটার ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭জন।
দক্ষিণ সিটিতে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৪জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এরমধ্যে বাতিল হয়েছে ৪০ হাজার ১৩০টি ও বৈধভোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৪টি। এই সিটিতে ফলাফল ঘোষিত ৮৮৬টি ভোটকেন্দ্রে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ফ্লাস্ক প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহমান পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৮৪ ভোট, সোফা প্রতীকে জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন মিলন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫১৯ ভোট, চরকা প্রতীকে আবু নাছের মোহাম্মদ মাসুদ হোসাইন ২ হাজার ১৯৭ ভোট, টেবিলঘড়ি প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী ২ হাজার ১৭৩ ভোট, জাহাজ প্রতীকে শাহীন খান ২ হাজার ৭৪ ভোট, আংটি প্রতীকে গোলাম মাওলা রনি ১ হাজার ৮৮৭ ভোট, বাস প্রতীকে শহীদুল ইসলাম ১ হাজার ২৩৯ ভোট, টেবিল প্রতীকে সিপিবি-বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ ১ হাজার ২৯ ভোট, ল্যাপটপ প্রতীকে জাহিদুর রহমান ৯৮৮ ভোট, কমলা লেবু প্রতীকে বিএনপি নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন ৯২৮ ভোট, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে এ এস এম আকরাম ৬৮২ ভোট, হাতি প্রতীকে দিলীপ ভদ্র ৬৬৯ ভোট, কেক প্রতীকে আব্দুল খালেক ৫৫০ ভোট, ময়ূর প্রতীকে শফিউল্লাহ চৌধুরী ৫১২ ভোট, চিতাবাঘ প্রতীকে মশিউর রহমান ৫০৮ ভোট, লাউ প্রতীকে মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াল্লাহ ৩৬২ ভোট, ঈগল প্রতীকে আয়ুব হোসেন ৩৫৪ ভোট এবং শার্ট প্রতীকে বাহরানে সুলতান বাহার ৩১৩ ভোট পেয়েছেন।