DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 05-05-15-PM_ECNEC-3

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ মে: বাগেরহাটের রামপালে ৫৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খান জাহান আলী বিমানবন্দরসহ ১ হাজার ৯১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক।মঙ্গলবার সকালে রাজধানী শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বিমানবন্দরটি স্থাপিত হলে সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খান জাহান আলীর মাজারকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প প্রসারিত হবে।এছাড়া একনেকে ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনীর মহিপালে ৬ লেনের ফ্লাইওভার প্রকল্পেরও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকার ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১১৪ কোটি ৪৬ লাখ যোগান দেয়া হবে।

বৈঠক শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ১০ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী অর্থায়ন (জিওবি) ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।খান জাহান আলী বিমানবন্দর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পুরোটা ব্যয় বহন করবে সরকার। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। যা ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে শেষ হবে এর কাজ।

এ প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার ফলে বৃহত্তর খুলনায় ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। বাগেরহাটে এখন মংলা বন্দর, ইপিজেড, চিংড়ি শিল্প ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। ফলে দরকার হয়ে পড়বে দ্রুত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের। বিমানবন্দর হলে সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলীর মাজারকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পও প্রসারিত হবে।অনুমোদিত অন্য প্রকল্প: ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প। ৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী-ওলামাবাজার চরদরবেশপুর- কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ কিলোমিটারে ছোট ফেনী নদীর উপর ৪৭৮ দমমিক ১৭ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প।

৪৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি জেলায় পাবলিক লাইব্রেরির উন্নয়ন প্রকল্প। ১৫ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নবায়ন, সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: পার্বত্য চট্টগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮০ কোটি টাকা।এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প, টিকা উৎপাদন প্রযুক্তি আধুনিকায়ণ ও গবেষণাগার সম্প্রসারণ প্রকল্প।