DoinikBarta_দৈনিকবার্তা bgb_dhaka_report_11993

দৈনিকবার্তা-যশোর, ১২ মে: বিজিবি দক্ষিন-পশ্চিম রিজিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডিএসএম শহীদুল ইসলাম পিএসসি বলেছেন, মাদক ,চোরাচালানের সাথে কখনো আপোষ করবো না। তবে চোরাচালান নির্মূল করা বিজিবির একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগনকে সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্য গনমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।মঙ্গলবার যশোর ঝুমঝুমপুরস্থ বিজিবির দক্ষিন-পশ্চিম রিজিয়নের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয, জাতীয়,দৈনিক পত্রিকা, ও ইলেকট্রনিক্সস মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিন পশ্চিম রিজিয়নের লজিষ্ট্রিক পরিচালক লে: কর্নেল মো: আজিজুল ইসলাম পিএসসি, দক্ষিন পশ্চিম রিজিয়নের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো চীফ লে: কর্নেল মুজিবুল হক সিকদার,যশোর ২৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, দক্ষিন পশ্চিম রিজিয়নের পরিচালক অপারেশন লে: কর্নেল মো: শহিদুর রহমান, যশোর ২৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো: লিয়াকত আলী,যশোর ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এটিএম আহসান হাবিব প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় মাদক চোরাচালানী পন্য ও অস্ত্র আটকের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। পরিসংখানে দেখানো হয় যে, বিজিবি গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬২,৮০২ বোতল ফেনসিডিল,২২,৯৪৭ বোতল মদ,২৩১ কেজি গাঁজা,১.৫ গ্রাম হেরোইন,১,৬৫,০৭০ টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ও ৩০৮ বোতল বিয়ার আটক করে। এসব পন্য আটক করতে ১,২৩৯ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আসামি আটক হয় ৯৩ জন। মামলা হয় ৭৬ টি।এছাড়া চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৮০,৩১,০৭,০৪৯ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের মালামাল আটক করা হয়। একই সময়ে আটক করা ৮ টি পিস্তল, ১৪ টি পাইপগান, ও ৭,৫৯৩ কেজি স্বর্ন।একই বছরে দায়িত্ব পালনকালে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি বিএস এফের হাতে ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছে ১ জন ও আহত হয়েছে ২ জন।

এদিকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিজিবি ১০৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটকের পর থানায় সোপর্দ ও ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। একই সময়ে বিএসএফ কর্তৃক আটককৃত ২৮ জনের মধ্যে ১২ জনকে বিজিবির নিকট এবং ১৬ জনকে ভারতীয় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাচারকারিদের হাত থেকে উদ্ধারের পর ২১৫ জন নারী শিশুকে থানায় সোপর্দ করা হয়। অন্যদিকে পাশ্বর্ বর্তী দেশ ভারতের কড়াকড়ি মনোভাবের কারণে গরু না আসায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে রাজস্ব আয়ের পরিমান প্রায় শূন্যের কোঠায়। গত বছর এই সময়ে ৬,০৭৬,০৭ টি গরু করিডোর হয়েছে। যার রাজস্ব আদায়ের পরিমান ৩০,৩৮,০৩,৫০০ টাকা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১,০৪,৫৭৫ টি গরু করিডোর হয়েছে। যার রাজস্ব আদায়ের পরিমান ৫,২২,৮৭,৫০০ টাকা।