ga3vz0hf-290x218

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ মে: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেছেন, বিনামূল্যে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের জন্য একটি স্থায়ী কেন্দ্র চালু করা হবে।তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় বিনামূল্যে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের জন্য এই কেন্দ্রটি স্থায়ীভাবে চালুর ব্যবস্থা করা হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত বিনামূল্যে কৃত্তিম পা সংযোজন ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।নিটরের পরিচালক ডা. ইকবাল কাভীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রাজস্থানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নওয়াবজাদা আইম উদ্দিন আহমেদ খান, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সালান, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. আমজাদ হোসেন, মহাসচিব ডা. মোনায়েম হোসেন প্রমুখ।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিনামূল্য সুবিধা ছাড়া গরিবদের পা সংযোজন সম্ভব নয়। এ কর্মসূচির আওতায় সেই গরীব জনগোষ্ঠীই সেবা পাচ্ছে। এ জন্য ভারত-বাংলাদেশের সহযোগী সব প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠনগুলো এগিয়ে এলে শুধু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, স্থায়ীভাবে এ কার্যক্রম চালু করা হবে এবং এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

সরকার গরিবের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচেছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি গরিবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যারা বিত্তবান তারা দেশে-বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন। কিন্তু গরীব-মধ্যবিত্তরা এক্ষেত্রে অসহায়। গরিবের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্যই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।ডাক্তারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যেখানেই থাকবেন সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো রোগী যেন চিকিৎসা ছাড়া ফেরত না যায়। সবাই সবার দায়িত্ব পালন করলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, অনেক নাটক দেখেছি, এখন দেখছি সালাহ উদ্দিন ভারতের মেঘালয়ে চাদর গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াচেছন। ভবিষ্যতে হয়ত বেগম জিয়ার আরও অনেক নাটক দেখব। বেগম জিয়া যেভাবে নাটক শুরু করেছেন, এতে অভিনেতাদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার নাটকের শেষ নেই।ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরই আমরা একটা কৃত্রিম পা সংযোজনের কর্মসূচি চালু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিটরের মাধ্যমে এমন একটি কর্মসূচি চালু করতে পেরেছি, এটা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির উদ্যোগে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ভারতের প্রখ্যাত জয়পুর ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহায়তা সমিতি’এর সহায়তায় পঙ্গু রোগীদের কৃত্রিম পা সংযোজনের জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নয়শতাধিক মানুষের কৃত্রিম পা সংযোজন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।