1422549271

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ মে: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, সে এখন ভারতে অবস্থান করছে। ভারতে যেখানে অবস্থান করছে,সেখানেও একটা আইনের ব্যাপার-স্যাপার রয়ে গেছে। তাকে আনতে হলে ভারত সরকারের একটা আইনি প্রক্রিয়া থাকবে এবং আমাদের একটা আইনি প্রক্রিয়া থাকবে। সেখানে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখ্য ভূমিকা নেবে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে–জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।সালাহউদ্দিন কিভাবে ভারতে গিয়েছেন– সেটা দেশে ফিরিয়ে আনার পর তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগেই বলেছিলাম সালাহউদ্দিন আহমেদ আত্মগোপনে রয়েছেন এবং স্থান পরিবর্তন করছেন, তাই প্রমাণিত হয়েছে। উনাকে আনতে হলে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের একটি আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।তিনি আরো বলেন, এখনো অফিসিয়ালি কোনো কাগজ আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। আমরা মৌখিকভাবে যে সকল খরব পাচ্ছি তার ভিত্তিতেই কথা-বার্তা হচ্ছে। যেটাই হোক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হবে।বিএনপির এ নেতার আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি এখন টওমাণিত হয়েছে– বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাওয়া শনাক্ত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।পাচার বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনাক্ত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। যেসব দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের পাচার করা হয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গেও কথা বলব।মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের কাছাকাছি সমুদ্রে ভাসমান পাচার বাংলাদেশিদের বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।এছাড়া পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সরকার বারবার চোরাই পথে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।এর আগে মঙ্গলবার দিনভর সচিবালয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও নারী-শিশু পাচার সংক্রান্ত্র মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বৈঠক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।সভায় কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী, রংপুর সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পথে পাচার ঠেকাতে বিজিবির টহল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গণসচেতনতা বাড়াতেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।