Gournadi Photo- 15-05-15

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল) , ১৫ মে ২০১৫: নোটিশ ছাড়াই থানার ওসি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেই উপস্থিত থেকে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে এক মুক্তিযোদ্ধার দোকান ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য বিষয়টি জানতে ওসির কাছে গেলে তাকে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শণ করা হয়। ওসির বির্তকিত কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী গৌরনদীর ইল্লা নামক এলাকায়।শুক্রবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে ইল্লা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক সরদার অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কের সংযোগস্থল ইল্লা-বাকাই সড়কের গোড়ার সরকারি রাস্তা ও খালের জায়গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করে আসছি। তিনি আরও বলেন, সড়কের গোড়ায় আমি একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছি।

অতিসম্প্রতি স্থানীয় জনৈক হাকিম সরদার দোকান ঘরের জায়গার মালিক দাবি করে। এনিয়ে তার সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে। এরইমধ্যে কোন নোটিশ ছাড়াই বৃহস্পতিবার দুপুরে গৌরনদী থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬/৭ জন পুলিশ সদস্যরা আমার দোকান ঘরের সামনে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে হাকিম সরদার ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ওসি দোকান ঘর ভাঙ্গার নির্দেশ দেন। তার (ওসির) উপস্থিতিতে ও নির্দেশে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার দোকান ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ওসির নির্দেশে দোকান ঘরের চালার টিন টেম্পোতে তুলে থানায় নেয়ার চেষ্ঠাকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা আরজ আলী সরদার এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি তাকে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শণ করে। মুক্তিযোদ্ধা খালেক সরদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ওসির উপস্থিতিতে ও তার নির্দেশে আমার দোকান ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরকারি সম্পত্তি ও জনসাধারনের যানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমার। সরকারি সম্পত্তি দখলকারীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।