23-05-15-PM_Hazaribagh-7

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ মে: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো কোনো অশুভ শক্তি যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শনিবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান৷হাজারীবাগ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধন এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন,তিন সিটিতে আওয়ামী লীগকে জয়ী করে জনগণ দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আর এর মাধ্যমে দেশের মানুষ বিএনপিকে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা জ্বালাও পোড়াও নয়, শান্তি চায়৷তিনি আরো বলেন, বিএনপির অভ্যাস ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো৷ তারা ক্ষমায় গিয়ে কখনো দেশের উন্নতি করেনি৷এছাড়া অপশক্তির উত্থান ঠেকাতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা৷এ সময় আগামীতে দেশে ৫৪৯টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করার কথা বলেন আর এরই মধ্যে সরকার দেশের প্রথম বার্ন ইনস্টিটিউট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী৷ জানুয়ারি থেকে টানা তিনমাস বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা করেছে উল্লেখ কওে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই অশুভ শক্তি যাতে কখনও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকতে হবে৷

বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) কোনো পরিবর্তন হবে না৷ তাই আবারও ধ্বংসাত্বক পরিস্থিতি ফিরে আসতে পারে! এজন্য ওই শক্তির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে জনগণকে নির্যাতন করেছে, মানুষ তাদের ভোট দেবে কেন?নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ই প্রমাণ করে দেশে গণতন্তের ভিত্তি মজবুত এবং সাধারণ মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়, ধ্বংস চায় না, বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ ধ্বংস কিংবা সংঘাত নয়, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বেতবুনিয়ায় স্থাপতি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের যে ভীত রচনা করেছিলেন তার সূত্র ধরেই বাংলাদেশ আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলছে৷তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যয় নিয়ে তার দল সরকার গঠন করেছিল, আজ তার অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে৷ দেশের ৯৯ শতাংশ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে৷ দুর্গম পার্বত্য এলাকায়ও পৌঁছে গেছে সে নেটওয়ার্ক৷ ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চলছে৷ ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু হবে৷ আর এভাবে উন্নত বিশ্বে যত আধুনিক প্রযুক্তি আসবে বাংলদেশ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রেখে যাওয়া অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলে তার সরকার নির্বাচনী ওয়াদা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বাস্তবায়ন শুরু করে মাত্র সাড়ে ছয় বছরে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে৷স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন৷