Footpath1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মে: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জুনের ১ তারিখে গুলিস্তান এবং ১২ জুন ফার্মগেট এলাকা থেকে রাস্তা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু করা হবে৷ যানজট একেবারে নিরসন করা যাবে না, তবে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে৷বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ নগর ভবনে মেয়র উইং কনফারেন্স রুমে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডিটিসিএ পরিচালনা পরিষদের ষষ্ঠ সভায় তিনি এ কথা বলেন৷বিলবোর্ড অপসারণ করার মূল অভিযান ১ জুলাই থেকেই শুরু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে ফুটপাত এবং রাস্তা দখলমুক্ত করতে হবে৷ আর এ কাজ বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন যার প্রয়োজন অনুভব করবে তার সহায়তা নেয়া হবে৷

মন্ত্রী বলেন, আগে আমি নিঃস্ব ছিলাম, এখন ঢাকার দুই মেয়র এবং চট্টগ্রামের মেয়রকে পেয়ে আমি আর একা নই৷ মেগা প্রকল্পের মতো যেকোনো প্রকল্পই বাস্তবায়ন করে গ্রীন এবং ক্লিন সিটি গড়ে তুলতে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী৷সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র সাঈদ খোকন এবং আনিসুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এম সিদ্দিক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোঃ মারুফ হাসান প্রমুখ৷

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, পহেলা জুন ক্লিন ঢাকা গ্রিন ঢাকা এর আওতায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গুলিস্তান এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্তের কাজ শুরু করা হবে৷ আর উত্তর সিটি করপোরেশনের ফার্মগেট এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্তের কার্যক্রম শুরু হবে ১ জুলাইতে৷ এতে যানজট নিরসন করা সম্ভব না হলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে৷এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন রাজধানীর রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান৷

পরে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হঠাত্‍ করে তাদের উঠিয়ে দেয়া যাবে না৷ তাদের সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্থানান্তর করে দখলমুক্ত করা হবে৷ না হয় সমস্যা সৃষ্টি হবে৷মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সকল এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে আমরা এ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি৷ এটি করতে পারলে নগরীর যানজট অনেকটাই কমবে৷তিনি বলেন, এ অভিযান কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন যাদের সঙ্গে নিতে চায় তাদের দিয়েই তা পরিচালনা করা হবে৷ মূলত এ অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের৷প্রিয় হোক আর অপ্রিয় হোক নগরীকে সুন্দর ও গ্রিন করতে হলে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবেই৷ পরবর্তীতে নগরবাসী একটি সুন্দর ও সবুজময় শহর উপহার পাবে বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন৷

তিনি বলেন, রাজধানীর গুলিস্তান হলো দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাণকেন্দ্র৷ কিন্তু গুলিস্তানের রাস্তা, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচ পুরো অবৈধ দখলদারদের কবলে৷ সংস্থা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও সেটা স্থায়ী সমাধান হয় না৷ অবৈধ দখলবাজরা যাতে আবার দখল করতে না পারে সেজন্য স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন৷দখলদারদের পেছনে অদৃশ্য একটি হাত আছে মন্তব্য করে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান করে লাভ হচ্ছে না৷ তারা আবার জেঁকে বসে৷ এদের শক্তি কোথায় তা আগে জানতে হবে৷এ বিষয়ে সবাইকে সমন্বিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি৷সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ডা. মো. এনামুল রহমান, জাতীয় সংসদের হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত্‍ আইভি, গাজীপুর সিটি মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরন,ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান, যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম সিদ্দিক প্রমুখ৷