marder

দৈনিকবার্তা-পাঁচবিবি(জয়পুরহাট), ২০ জুন: শনিবারভোর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভীমপুর তালপাড়ার আদিবাসী পল্লীতে পুত্র, শাশুড়ীসহ ৪জনকে হত্যা করেছে ঘরজামাই সুমন হেমব্রম (৩২)। পুলিশ সুমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার জয়দেবপুর দরগাপাড়া গ্রামের নবীন হেমব্রমের ছেলে সুমন হেমব্রম প্রায় ১০ বছর পূর্বে ভীমপুর তালপাড়া গ্রামের মানিয়াল মারান্ডীর মেয়ে সিলভিয়া মারান্ডীকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়ীতে থাকতো। শ্বশুড় ও জামাই দু’জনেই ঢাকায় থাকতো। ২৫ মে সুমন ঢাকা থেকে আসার পর স্ত্রী সিলভিয়ার আচার আচরণে তার সন্দেহ হয়।

শনিবার ভোর ৩ টার দিকে ঘরের বাইরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সুমন তার স্ত্রীকে দা দিয়ে কোপ মারে। স্ত্রী সিলভিয়া হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে তার হাত দু’টি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। সন্তান দু’টিকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। মেয়ের চিৎকার শুনে মা সন্ধ্যা মারান্ডী (৪৭), বোন তেরেজা মারান্ডী (২৪), ছেলে সামী হেমব্রম (৬) এবং কাজের লোক মরকেল মারান্ডী (৫০) ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পর্যায় ক্রমে সুমন তাদের কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ীতেই স¦াভাবিক অবস্থায় থাকে।

এসময় আহত স্ত্রীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে থানায় খবর দেয়। থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, পুলিশ লাশ ৪টি উদ্ধার করেছে এবং ঘাতক সুমনকে বাড়ি থেকেই আটক করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, সুমন ওই বাড়িতে ঘরজামাই ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় একটি মোটর ওয়ার্কশপে কাজ নেন। ভোররাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি কামাল বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রথমে স্ত্রীর উপর চড়াও হন সুমন। তাকে বাঁচাতে এসে হামলার মুখে পড়েন অন্যরা।

হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে গ্রামবাসী সুমনকে ধরে পুলিশে তুলে দেয়। সুমন হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে,বলেন ওসি।পুলিশ গিয়ে লাশ চারটি ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে। তাদের সবার দেহে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলভিয়া জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছেন সিলভিয়ার মামা সুরেন হাদ্দা।