Mojibul

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ জুন: রেলপথ মন্ত্রী মো.মুজিবুল হক বলেছেন,রেলপথকে যুগোপযোগীকরণ, রেলওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিরাপদ, সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, পরিবেশ বান্ধব ও যাত্রী সেবামূলক গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।তিনি সোমবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য বেগম সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।মুজিবুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৩৩ হাজার ৬৪৭ দশমিক ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৪৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৪৮টি প্রকল্পের অনুকূলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ৩ হাজার ৪৪৯ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে নতুন ট্রেন চালু করার একটি বড় বাধা হলো ডাবল লাইন না থাকা। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, তারাকান্দি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার, লাকসাম-চিনকীআস্তানা ৬১ কিলোমিটার এবং ফরিদপুর-পাচুরিয়া ১০ কিলোমিটার মোট ১০৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের মেয়াদে ২০৭ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় ঋণের আওতায় খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও এ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে ও নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ৭৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৮৮৯ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিশেষ করে লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের তীব্র সংকট রয়েছে। অধিকাংশ লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অতিক্রান্ত হওয়ায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।মন্ত্রী বলেন, সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের শুরু থেকে অদ্যাবধি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনসহ মোট ৯৬টি নতুন ট্রেন বিভিন্ন রুটে চালু করা হয়েছে এবং ২৬টি ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত করা হয়েছে।রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যানে ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ দশমিক ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩৫টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।