manan_SM_296831267

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুন: সব কূল হারিয়ে বিএনপি এখন সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, দুর্নীতি রোধ করতে পারলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ গুণ বেড়ে যাবে।বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

জামাতকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতদিন পর্যন্ত জামাতের সঙ্গ ছাড়ছেনা ততদিন তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না। দেশে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হলে শিগগিরই জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।দারিদ্র্য বিমোচনে দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র গড়ার ওপর জোর দিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, দুর্নীতি মুক্ত করতে পারলেই দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব হবে।রাশেদ খান মেনন বলেন, গ্রাম অঞ্চলে আয় বৈষম্য বেড়েছে। ধনী-গরিবের বৈষম্য বহুলাংশে বেড়েছে এবং বেড়েই যাচ্ছে।

যদিও অর্থমন্ত্রী এটি স্বীকার করবেন না। এ বৈষম্য রোধ করতে হবে। এটি বাড়তে থাকলে, বিপর্যয় ঘটবে। এ জন্য দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতি মুক্ত করতে না পারলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে না, দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব হবে না।তিনি বলেন, বর্তমানে সেই হাওয়া ভবন নেই। কিন্তু হাওয়া ভবনের লুটপাটকারীদের মতো চক্র এখনও সমাজে বিদ্যমান।

দুর্নীতিতে ম্লান হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর অর্জন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, খুন-গুম আভ্যন্তরীণ কোন্দল এসব কিছু বন্ধ করতে হবে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।তিনি বলেন, বিদ্যুৎখাত এভাবে বেসরকারিকরণ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য কতটুকু যৌক্তিক সেটা বিবেচনা করা উচিত।তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল করার কথা বলা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে, কৃষিখাতে বরাদ্দ কমেছে। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে সরকারকে বেশ কিছু ঝড় মোকাবিলা করে পার হতে হয়েছে, হচ্ছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। এরপর যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি জামায়াত দেশে নানা ধ্বংসের কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধ করতে গিয়ে সহিংসতা কার্যক্রম চালিয়েছে। এ সমস্ত পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।বিএনপির রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছে। শুধু রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বললে হবে না। এর জন্য জামায়াতকে ত্যাগ করতে হবে।

জামায়াত শুধু যুদ্ধাপরাধী দলই নয়, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষক। এ সব জঙ্গি সংগঠনগুলো জামায়াতের হয়ে কাজ করছে। বিএনপি জামায়াতের ছত্র-ছায়ায় জঙ্গি সংগঠনগুলো ফুলে ফেঁপে উঠছে। আমারা জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। আইনমন্ত্রীও সংসদ ও সংসদের বাইরে জামায়াত নিষিদ্ধের আইনের কথা বলেছেন। কিন্তু সেই আইন এখনও আলোর মুখ দেখছে না। অবিলম্বে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে হবে।নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বলেন, আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি, কিন্তু নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে আমরা সভ্য দেশ হিসেবে দাবি করতে পারি না।