masrafee111436098744_6042

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ জুলাই ২০১৫: দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টুয়েন্টি টুয়েন্টি ম্যাচটি সহজেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের দারুণ এক সুযোগ তৈরি হয়েছে প্রোটিয়াসদের সামনে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যেন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারে সেজন্য বদ্ধ পরিকর স্বাগতিক বাংলাদেশ। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ হার এড়াতে চায় টাইগাররা। এমন লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় শুরু হবে খেলাটি।প্রায় সাত বছর পর টি-২০ ফরম্যাটে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের মুখোমুখি হওয়া দু’টি ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে প্রোটিয়াসরা। মিরপুরে মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় ম্যাচেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্বান্তটা সফরকারীদেরই।কিন্তু বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চমকে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। স্বাগতিক দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে ইনিংসের শুরুতে প্রতিপক্ষকে স্পিনারদের সামনে পড়তে হয়।এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টুয়েন্টি টুয়েন্টি ম্যাচ বাজেভাবেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে চায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার ইঙ্গিত দিলেন বাংলাদেশ দলের অপেনার সৌম্য সরকার।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টি-২০ ম্যাচ ৫২ রানে হারে বাংলাদেশ। ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা জানান, বোলাররা ভালো করলেও, ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। বড় জুটি হয়নি। আর পরিকল্পনাগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়নি।মাশরাফির কথায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে প্রথম টি-২০ নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এমনটা বুঝতে পারছেন দলের অন্যান্য সদস্যরাও। এর মধ্যে আছেন ওপেনার সৌম্য সরকারও। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চান সৌম্য, প্রথম টি-২০তে আমাদের সবকিছুই ঠিক ছিলো। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনাগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বোলাররা-ফিল্ডাররা খুবই ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তবে পরের ম্যাচে সবগুলো পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাই প্রধান লক্ষ্য থাকবে আমাদের। যদি পরিকল্পনাগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, ম্যাচে আমরা সফল হতে পারবে। ম্যাচের ফলাফল আমাদের দিকেই আসবে।

দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করার পাশাপাশি, ওয়ানডে সিরিজের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়িয়ে নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন সৌম্য, ‘সিরিজে পিছিয়ে আমরা। এখনো আরও একটি টি-২০ ম্যাচ রয়েছে। ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করার লক্ষ্য থাকবে আমাদের। ম্যাচটি জিততে পারলে ওয়ানডে সিরিজের আগে আমরা ভালো অবস্থায় থাকবো। তাই দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ভালো করার লক্ষ্য থাকবে আমাদের।দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দাপটেই প্রথম ম্যাচটি হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এটা ম্যাচ শেষে স্পষ্টভাবেই বোঝা গেছে। তাই প্রশ্ন জেগেছে সফরকারীদের বোলিং কি বেশিই কঠিন? কিন্তু এমনটা মানতে নারাজ সৌম্য, প্রতিপক্ষের বোলিং আহামরি কিছু ছিলো না। সবকিছু স্বাভাবিক ছিলো। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিলো। ওপেনাররা ও সাকিব ভাই উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হয়ে যেতো।

অন্যদিকে, প্রথম টি- টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট জানালেন, অনায়াস জয়ের পরও বাংলাদেশকে হালকা করে নিচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বিব্রতকর রেকর্ডের ঝুলিতে রোববার যোগ হয়েছে আরেকটি ম্যাচ। নিজ দেশের মাটিতেই প্রোটিয়া পেস-স্পিন সামলাতে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে হেরেছে ৫২ রানে। সোমবার দুই দলেরই ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। বাংলাদেশের অনুশীলনে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম; ঐচ্ছিক অনুশীলনও বাদ দেন না তিনি। সঙ্গে এসেছিলেন সাব্বির রহমান ও লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অনুশীলনে এসেছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডেভিড ভিজে, প্রথম ম্যাচে বাইরে থাকা তিন ক্রিকেটার লেগ স্পিনার এডি লি, দুই পেসার ক্রিস মরিস ও বিউরান হেনড্রিকস। শের-ই-বাংলায় অনুশীলনের আগে প্রোটিয়া বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট জানালেন, বাংলাদেশের সামর্থ্য জানেন বলেই সতর্ক তারা।