29DB29CF00000578-0-image-a-95_1434970686053

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জুলাই ২০১৫:  পায়ে যেন গোদ রোগ। এত ভার যে নিজেই টেনে নেওয়া দুষ্কর। শরীরে লোমও তুলনামূলক কম। চোখ দু’টি দেখা যায় না ঠিকমতো। অনেকটা বয়সকাতুরে ভাব। ভারী পায়ের কারণে নিজের ডিম থেকে ঠিকমতো বাচ্চা ফোটাতেও অপারগ! হবেই তো! নাম যার ড্রাগন তার বর্ণনা তো এমনই হওয়া উচিত! বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও কুৎসিত চেহারার মুরগির কথা। ভিয়েতনামের ড্রাগন মুরগিকে এখন বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার আয়াম চেমানি নোমের এক জাতের কালো রঙের মুরগিকে বলা হতো সবচেয়ে দামি।

এক জোড়া ড্রাগন মুরগির দাম ১,৬০০ পাউন্ড অর্থাৎ, বাংলাদেশের হিসাবে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৫.৮৫ টাকা। এত দাম হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ড্রাগন মুরগির বংশ বিস্তার খুবই কঠিন ব্যাপার, ফলে মাংসের সরবরাহও কম। আর মাংস সুস্বাদুও বটে। হ্যানয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে হাং ইয়েন প্রদেশের খোয়াই শাউ জেলা থেকে ড্রাগন মুরগি নিয়ে সাধারণত বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে ধনীদের জন্য রান্না করা হয়। এদের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি হতে সময় লাগে আট মাস থেকে এক বছর। ড্রাগন মুরগির বৈশিষ্ট্য হলো এদের পায়ে পুরু লালচে আবরণ পড়ে, যা একজন মানুষের কবজির মতো পর্যন্ত মোটা হয়।

ড্রাগন মুরগি সাধারণত সাদা রঙের হয়। একটি বড় মোরগের ওজন ৬ কেজির চেয়েও বেশি হতে পারে। সাদা পালকের মধ্যে মধ্যে থাকে রঙিন পালক। আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই এরা নানা ধরনের অসুখে ভোগে। বংশবিস্তার কম হওয়ার আরেকটা কারণ হলো এদের শক্ত পা। যে কারণে প্রজনন মৌসুমে চাষিদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। একটা সময় ভিয়েতনামের রাজকীয় পরিবারের জন্য এই মুরগি পালন করা হতো।