47763

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ জুলাই ২০১৫: নতুন শিল্প কারখানায় উৎপাদন শুরু করতে জারিকৃত ডিমান্ড নোট অনুসারে চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, পুরাতন ও বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করার প্রস্তাব করেন ব্যবসায়ী নেতারা।বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই মিলনায়তনে ‘বর্তমান শিল্পায়নে সম্ভাবনা ও বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব দাবি ও প্রস্তাব করেন। শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি তিনটি প্রস্তাব করেন তিনি।মাতলুব আহমাদ বলেন, দেশে বিগত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিসহ বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যেতে বিভিন্ন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি থেকে ডিমান্ড নোট ইস্যু হলেও সংযোগ দেয়নি। উৎপাদনে যেতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিষ্ঠনগুলো।ডিমান্ড নোট ইস্যুকৃত প্রতিষ্ঠানে আগস্টের মধ্যে গ্যাস সংযোগের দাবি জানান তিনি।

স্থানান্তরিত কারখানায় পূর্বের অনুমোদন অনুযায়ী সরাসরি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ প্রদান ও গ্যাস চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে নিজস্বভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পরিচালিত কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ প্রদান করার দাবি জানান মাতলুব আহমাদ।এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, পুরাতন ও বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্র সমূহের কারণে কলকারখানায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিজেলভিত্তিক। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে গেছে। সরকার নতুন দামে ডিজেল কিনে চাইলে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালালে বা পিপিপিতে দিলে ব্যবসায়ীরা তাতে বিনিয়োগ করতে রাজি হবে।গ্যাস সংযোগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ৭০-৮০টি প্রতষ্ঠানকে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হলেও মাত্র ৮-১০টি কারখানা গ্যাস সংযোগ পেয়েছে। বাকিগুলো এখনও পায়নি।আগামীতে গ্যাস নির্ভর কোনো কল-কারখানা না করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হবে। তবে সেই পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ দিতে আবেদন জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদসহ সংগঠনের নেতরা উপস্থিত ছিলেন ।