শেষমেশ দেখা মিললো তিন্নির!

দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ২৫ জুলাই ২০১৫:  খুব অল্প সময়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি। সাবলীল বাচনভঙ্গি আর চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পারাটা ছিল তার সহজাত গুণ। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই তিনি ছিলেন উদাসীন। বিপর্যস্ত মানসিক কারণে অভিনয় থেকে অনেকটা স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছিলেন তিনি। দেরিতে হলেও সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন তিন্নি। অভিনয় যে শিল্পসত্তা সেটা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করেন এখন। তাই আবার অভিনয়ে নিয়মিত হতে চান। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে তিন্নি বলেন, চলার পথে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত আমাকে বিপর্যস্ত করেছে। অনেক সময় ভালোমন্দের পার্থক্য করাও দুরূহ হয়ে যেত। পরিণতিতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। তবে পেছনের ভাবনাগুলোকে আর সামনে আনতে চাই না। সব কিছু ভাবতে চাই নতুন করে। তিনি বলেন, অভিনয়ে অনেক দিনের বিরতি হয়ে গেছে। তাই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। সব কিছু ঠিক থাকলে আবার দুই-এক মাসের মধ্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চাই। তার আগেই ব্যক্তিগত কাজগুলো গুছিয়ে নেবো।

এদিকে, নির্মাতা কৌশিক শংকর দাশের হাত ধরে তিন্নির মিডিয়াতে ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২০০৬ সালে ‘সেই তুমি’ শিরোনামে একটি নাটকে মডেল ও অভিনেত্রী তিন্নিকে নিয়ে কাজ করেছিলেন নির্মাতা কৌশিক শংকর দাশ। সেই থেকে দু’জনের বন্ধুত্বের সূচনা। তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। এর মধ্যে ব্যক্তিজীবনের নানা জটিলতার ফেরে পড়ে মিডিয়া থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন তিন্নি। তাতে কি? ঈদ উপলক্ষে একটি রেঁস্তোরায় হঠাৎ দেখা মিললো তাদের। সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজের ছোট মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর একটি রেঁস্তোরায় খেতে গিয়েছিলেন নির্মাতা কৌশিক শংকর দাশ। একই সময় সেখানে হাজির হয়েছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। সঙ্গে ছিলো তার একমাত্র মেয়ে ওয়ারিশা। পুরনো বন্ধু ও নির্মাতা কৌশিক শংকর দাশকে পেয়ে আপ্লুত তিন্নি ডুবে গেলেন আড্ডায়। বললেন-না বলা অনেক কথা। আবার ছবি তুলে ফেসবুকে অনেকদিন পর নিজেন মুখ ‍উন্মোচন করলেন প্রকাশ্যে। এদিকে ঈদ নাটকের ব্যস্ততা সেরে কৌশিক নতুন নাটক নির্মাণের কথা ভাবছেন। জানালেন, ব্যাটে বলে মিললে তার নাটকে দেখা যেতে পারে তিন্নিকে। তিন্নিরও এ ব্যপারে সায় আছে বলে ইঙ্গিতে জানালেন এ নির্মাতা। উল্লেখ, ২০০৬ সালে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিন্নি। বিয়ের বছর কিছুদিনের মধ্যেই এই দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় একমাত্র মেয়ে ওয়ারিশা। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০১২ সালে দুজনে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই অভিনয় জগত থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যান এই অভিনেত্রী। তিন্নি সর্বশেষ ‘এই মায়া’ শিরোনামের একটি টেলিছবিতে অভিনয় করেছিলেন। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের লেখা নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরী।

২০০৪ সালে মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিন্নি। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। বিচরণ ছিল বড় পর্দায়ও। নূরুল আলম আতিকের ডুবসাঁতার, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মেড ইন বাংলাদেশ ও সোহানুর রহমান সোহানের সে আমার মন কেড়েছে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

image_127382_2615_0