o8

দৈনিকবার্তা-যশোর, ৩১ জুলাই: যশোরে ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এজেন্টরা। ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকের জেলা ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহেদের সাথে যোগসাজসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা একাউন্ট খোলার নামে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই সব কর্মকর্তারা নিজেদের খেয়াল খুশিমত উপবৃত্তির মোবাইল একাউন্ট খুলছেন। যে কারণে এজেন্টরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রতারণার শিকার ব্যবসায়য়িকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ফলে বাধ্য হয়ে তারা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চিন্তাভাবনা করছেন। একই সাথে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যশোর জেলায় প্রায় ২ হাজার এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ব্যবসা করেন। এতে ব্যাংক প্রচুর লাভবান হয়। গত ৬জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের শিক্ষার্থীদের একাউন্ট খোলা হয়। এসময় প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর একাউন্ট খোলে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে যশোর সরকারি এম এম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, উপশহর মহিলা কলেজ, খাজুরা কলেজ, চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ, চৌগাছা মহিলা কলেজ উল্লেখযোগ্য।

ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিয়মনুযায়ী এসব একাউন্ট এজেন্ট দিয়ে খোলার নিয়ম। কিন্তু ব্যাংকের জেলা ম্যানেজার আবদুল ওয়াহেদ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মধুসুদন বর্মণ, মুসফিক, সাইফুর রহমান, শাহিনুর রহমান, মিকাইল হোসেন, ও নুরুল ইসলাম যোগসাজসে তারা এজেন্টদের বাদ দিয়ে বেনামী এজেন্ট দিয়ে একাউন্ট খোলে। আর এ খাত থেকে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এজেন্টদের দিয়ে একাউন্ট খোলা হলে আরও বেশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব খোলা যেত বলে জানিয়েছেন এজেন্টরা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের এসব অনৈতিক কর্মকতা-ের প্রতিবাদ করায় এজেন্ট বাতিল করে দেবারও হুমকি দিয়েছে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। তারা এজেন্টদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘পোষালে ব্যবসা করেন, না পোষালে ব্যবসা ছেড়ে দেন।’ ‘আমরা কাকে দিয়ে একাউন্ট খুলবো তা আপনাদের কাছে কৈফৎ দিতে পারবো না।

এ ব্যাপারে ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জেলা ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহেদ জানান, মধুসুদন বর্মণ, মুসফিক, সাইফুর রহমান, শাহিনুর রহমান, মিকাইল হোসেন ও নুরুল ইসলাম ব্যাংকের কর্মকর্তা। তারা শুধু দেখভাল করেন। তারা কাউকে দিয়ে কোন হিসাব খুলতে পারেননা। একমাত্র এআরও, জেআরও, এফআইআরওরা হিসাব খুলতে পারেন। এসব কর্মকর্তাদের দিয়ে ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব খুলে দুই লাখ টাকার বাণিজ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। আপনার কথা আমি বুঝতে পারছি না। আপনি আমার অফিসে আসেন। তারপর এক সাথে বসে কথা বলবো।