dd21

দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ০৬ আগস্ট, ২০১৫: ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত সহকারী দারোগা বাদল চন্দ্র রায় ঢাকা উত্তরা থানায় কর্মরত এক মুসলিম পুলিশ সদেস্যর স্ত্রীকে পীরগঞ্জ উপজেলার বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা কালে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।অভিযোগে জানা যায়, ঢাকা উত্তরা কর্মরত পুলিশ সদস্যদর স্ত্রী উম্মে কুলসুম ইতি তার ৭/৮ বছরের ২ সন্তান নিয়ে পীরগঞ্জ শহরের পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রীনলাইন মহল¬ায় ব্যাংকার গোলাম মোস্তফার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে পাশ্ববর্তী আল-হাসানাহ ইসলামিক স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া আসার প্রাক্কালে প্রায় ২ মাস আগে ঠাকুরগাঁও ডিএসবিদতে কর্মরত সহকারী দারোগা বাদল চন্দ্র রায়ের সাথে তার পরিচয় হয়। এ সুবাদে প্রায়শ:ই এই দারোগা মোবাইলে তাকে কুপ্রস্তাব দিলে তাতে রাজি হয়নি ঐ গৃহবধূ।

বৃহস্পতিার দুপুরে দিকে গৃহবধূ তার নিজ শয়ন কক্ষে বিছানায় বিশ্রামরত অবস্থায় থাকাকালে বাদল চন্দ্র রায় অতি সঙ্গোপনে ঐ শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে একাকী পেয়ে অসৎ অঙ্গ ভঙ্গি প্রদর্শন সহ গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টা করে। গৃহবধূ কোনভাবে নিজেকে রক্ষা করে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে এবং ঘর থেকে বের হয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। দারোগা তালা ভেঙে বেরুনোর চেষ্টা করলে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) মো.ওয়াহেদ আলী পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং আটক দারোগাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এ ঘটনার গৃহবধূ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে থানা কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি এন্ট্রি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে রিপোর্ট করেন এবং তার পরামর্শে গভীর রাতে ঐ দারোগাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। আটক দারোগার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিভাগীয় ব্যবস্থার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় জনমনে পুলিশের কার্যত্রম, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছ।পীরগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) মো.ওয়াহেদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।