দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৭ আগস্ট ২০১৫: রাজশাহীতে আটককৃত মোরসাইকেল থেকে পুলিশ ব্যাপক হারে বাণিজ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্র তল্লাশির নামে মোটরসাইকেল আটক করে সেখান খেকে মোটা অংকের বাণিজ্য করছে পুলিশ। নগরীসহ জেলার নয়টি উপজেলাতেই একই কায়দায় বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।তবে নগরীতে এ মাত্রা ভয়াবহ বলে দাবি করেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল আটকের পর দুই কখনো কখনো অর্ধ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। এমনটি ঘটছে দামি মোটরসাইকেলেরে ক্ষেত্রে বেশি।সূত্র মতে, রাজশাহীতে চোরাই প্রায় ১৫টি আরওয়ান-৫ দামি মোটরসাইকেল রয়েছে। এই মোটরসাইকেলগুলো গত ৬ মাসে একের পর পর আকট করে প্রত্যেকটির মালিকদের নিকট থেকে অন্তত ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তার নির্দেশে মোটরসাইকেলগুলো আটক করে এ বাণিজ্য করা হয়েছে বলে একাধিক মালিক নিশ্চিত করেছেন।একজন মালিক বলেন, কয়েকদিন আগে তার ব্যবহৃত কাগজপত্রহীন আরওয়ান-৫ মোটরসাইকেলটি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এরপর ট্রাফিক অফিসে নিয়ে গিয়ে একদিন পরে তার নিকট থেকে ৭৫ হাজার টাকা আদায় করে ওই গাড়ীটি তাকে আবার ফেরত দেওয়া হয়।’তবে মোটরসাইকেল আটকের নামে বানিজ্যের কথা অস্বীকার করেন ট্রাফিক পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়।’
এদিকে সিহাবুল ইসলাম নামের এক মোরসাইকেল চালক অভিযোগ করে বলেন, ‘কাগজপত্র থাকলেও পুলিশ নানা টালবাহানা করেও কখনো কখনো টাকা আদায় করছে। বিশেষ করে পবা থানা পুলিশ এই কাজটি বেশি করছে। রাতের বেলা বিভিন্ন স্থানে অঁৎ পেতে বসে থেকে তারা যানবাহণ তল্লাশির নামে অর্থ আদায় করছে।অপরদিকে মোটরসাইকেল আটকের পর সেগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হলে পার্টস খুলে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মালিকরা। নগরীর শাহমখদুম থানা এলাকার এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি তার একটি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মাস খানেক পরে গাড়ীটি আনতে গিয়ে তিনি দেখেন অনেক দামি পার্টসই নাই। সেগুলো খুলে নিয়ে পুরোনো পার্টস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা অকেজো।’অপরদিকে দামি প্রাইভেট কার আটক করে কখনো কখনো থানার ওসি বা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাও সেই গাড়ী ব্যবহার করেন বলে রাজশাহী পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।সূত্র মতে, গত বছরের ১৪ এপ্রিল গোদাগাড়ী থানার এসআই মেহেদী হাসান ৮৬০ বোতল ফেনসিডিলিসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী একটি প্রাইভেট কার আটক করে। আটকের পর তিনি ওইদিনই থানায় একটি মামলা করেন। যার নম্বর ১৪। এ মামলার জব্দ তালিকায় ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৯২০৪ নেভি ব্লুব্যান্ডের গাড়ীটি তিনি জব্দ তালিকায় উল্লেখ করেন। এরপর গাড়ীটি থানার সামনে ফাঁকা স্থানে রাখা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তৎকালীন ওসি ওই গাড়ীটি নিয়ে নিজেই চালিয়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়াতেন।এর বাইরে আরেকটি মাদক মামলায় আটককৃত দামি নোহা গাড়ী রাজশাহী জেলা পুলিশের সাবেক এসপি আলমগীর কবীর বেশকিছুদিন ব্যবহার করেছেন তার পারিবারিক কাজে। এ নিয়েও গত বছরের নভেম্বরের দিকে অভিযোগ উঠে।