47137_188

দৈনিকবার্তা-মাগুরা, ১৮ আগস্ট: ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্র“পের সহিংসতায় গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েকৃত মামলার ৩ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান আজিবর ওরফে আজিবর শেখ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১টার দিকে শহরের দোয়ার পাড় এতিমখানা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।মাগুরা পুলিশ সুপার এহসান উল্লাহ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ সুপার জানান, আজিবরসহ একটি সন্ত্রাসী গ্র“প দোয়াপাড় এতিমখানা এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবরে মাগুরা পুলিশের একাধিক টিম তাকে আটক করতে সেখানে অভিযানে যায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে আজিবর শেখের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার করে।এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় মাগুরা শহরের ব্যাপক গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়ে শালিখা উপজেলার সীমাখালী এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আজিবর শেখ গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু পুলিশ বারবার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে। এসময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এ ধরনের কোন গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে অবশ্যই মিডিয়াকে জানানো হবে।গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আজিবর ৩নং আসামি হলেও মামলায় বাদী উল্লেখ্য করেছেন আজিবরের আগ্নেয়াস্ত্রের ছোঁড়া গুলিতে মমিন ভূইয়া নিহত হয়েছেন।

এ মামলার অপ্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সেন সুমনের ৭ দিনের রিমান্ড চলছে। বর্তমানে সে মাগুরা ডিবি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঢাকার কল্যাণপুর থেকে গত ২ আগস্ট সেন সুমনকে গ্রেফাতার করা হয়।এর আগে মামলার ৫ নং আসামি ও ১২ নং আসামি সোবাহাকে পুলিশ এক দিনের জন্য রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।এ পর্যন্ত মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ডিবি পুলিশ ৯ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে আজিবর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর বাকি ২ নং আসামি মোহাম্মদ আলীসহ ৬ জনকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই শহরের দোয়ার পাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন মমিন ভূইয়া নামে একজন। গর্ভস্থ শিশুসহ গুলিবিদ্ধ হন নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় নিহত মমিনের পুত্র রুবেল ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ১৬ জনের নামে হত্যাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।