Ripon-রিপন

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ আগস্ট: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন।

ড. রিপন বলেন,ছাত্রলীগ বলছে ক্রসফায়ারের নামে আমাদের নেতাকর্মীতের হত্যা করা হচ্ছে। এটা মানা যায় না। অপরদিকে ওবায়দুল কাদের বললেন, এ্যাকশন শুরু। মন্ত্রীর এ কথা থেকেই বুঝা যায়, ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করছে সরকার।ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকার স্বীকার করেছে, ক্রসফায়ার তারাই করাচ্ছে।এক যাত্রার দুই নীতি মেনে নেয়া যায় না মন্তব্য করে রিপন বলেন, বিএনপির নেতাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করলে ছাত্রলীগ ও সরকারের কিছুই যায় আসে না। আর সরকারি দলের কেউ ক্রসফায়ারে হত্যার শিকার হলে সরকারের যায় আসে।

কিন্তু এক যাত্রার দুই নীতি মেনে নেয়া যায় না।ক্রসফায়ার সব সমস্যার সমাধান নয় উল্ল্যেখ করে সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামলান।দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একের পর এক বরখাস্তকৃত বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।গাজীপুরের মেয়র এমএ মান্নানকে বরখাস্ত করা প্রসঙ্গে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সিটি মেয়র, উপেজলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করছে। আর তাদের অনুগত ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার ধ্বংস করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রিপন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ মনে করতো। তাই গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি।এ কারণে এমএ মান্নানকে তার পদথেকে অপসারণ করা হয়েছে। আর এ ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ আগে থেকেই করেছে বলে আমরা মনে করি।স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগামীতে দলীয় সরকারের অধীনে হবে- সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ফুল মার্কা আর টব মার্কার নির্বাচন আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু সেই নির্বাচন যদি ধানের শীষ ও নৌকা মার্কার হয় তাহলে তো আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে আরো বেশি কারচুপি করবে।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা জনগণের রায়কে অপছন্দ ও অশ্রদ্ধা করে। কারণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।