Gazipur-(1)- 02 September 2015-Two Marder judgment

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২ সেপ্টেম্বর:  গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন গাজীপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক। বুধবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ.কে.এম এনামুল হক এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম বদরুল ইসলাম (২৬)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রৌহা কালিরহাট এলাকায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও মামলা সূত্রে গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর বৌবাজার এলাকায় লতিফ গাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ইসমাইল হোসেন। সেখানে তার শ্যালক বদরুল ইসলাম বেড়াতে আসে। ২০১০ সালের ১৫ জুন ভগ্নিপতি ইসমাইলের কাছে টাকা ধার চায় বদরুল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বদরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ইসমাইলের বুকের বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এসময় ইসমাইল ও তার মায়ের চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী ঘরের ভাড়াটিয়া বেলাল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় বেলালের বুকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় বদরুল। ছুরিকাঘাতে ইসমাইল ও বেলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ব্যাপারে নিহত বেলালের ভাই ফজলু বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। পর দিন পুলিশ বদরুলকে তার গ্রামের বাড়ি গফরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রাজিউর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বুধবার আদালত বদরুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, ‘দুটি হত্যাকান্ডের জন্য আসামীর প্রতি মৃত্যুদন্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডের দুটি দন্ডাদেশের আদেশ প্রদত্ত হয়েছে। তাই প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আইন ও নিয়ম অনুসারে মৃত ইসমাইলকে হত্যার জন্য আসামী বদরুল ইসলামের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হলে তার প্রতি প্রদত্ত মৃত বেলালকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা কার্যকরনের কোন সুযোগ থাকবে না তা অবধারিত সত্য। তবে যদি প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আইন অনুসারে মৃত বেলালকে হত্যার জন্য আসামীর প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশটি কোন ভাবে কার্যকর করার অবস্থায় পড়ে সে ক্ষেত্রে অত্র মামলায় আসামীর হাজত বাসের সময়কালটি তার প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে এবং অদ্য হতে যে তারিখে আসামী বদরুলের প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ড শুরু হবে সে তারিখ পর্যন্ত সময়টি তার প্রতি প্রদত্ত ঐ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।’ রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি মো: হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: হুমায়ুন কবিন।