119625_1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ওপর ভ্যাট আরোপের বিষয়ে আবারো অনড় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকা খরচ করেন। সেখানে ৭.৫ ভাগ হারে এক হাজার টাকায় ৭৫ টাকা খুব বড় কিছু নয়।বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে শিক্ষাক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।ব্র্যাক ও এটিএন বাংলার সহযোগিতায় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যে ফি নেয়,তা খুবই হাই।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দেবে।বিশ্ববিদ্যালয় এই ভ্যাটের কারণে যেন নতুন করে টিউশন ফি বা অন্য কোনো নামে বাড়তি অর্থ নিতে না পারে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন মুহিত।তিনি জানান, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বাড়তি রাজস্ব। যে কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্যাক্স আরোপ করতে হয়। রাজস্ব বাড়াতে যেকোনো জায়গায় খোঁচা দিতে হয়। সে জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট বসানো হয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ফি নেয়, সেখান থেকে রাজস্ব নেবে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় তাতে রাজিও হয়েছে। আমি সেখানে বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকই রাজি হয়েছে। কিন্তু তোমরা (শিক্ষার্থীরা) যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজর না দাও, তবে আগামী বছর সেগুলো তোমাদের ওপর পাস আউট করে দিবে। ফি, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড আরও নানা কথা বলে শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করে নেবে।

তিনি বলেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেই আমি বলেছি- তোমরা (শিক্ষার্থী) আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যাতে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের জন্য আবার না খরচ বেড়ে যায়।সারাদেশের দুই হাজার স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্যায়ের এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মুন্সীগঞ্জের বজ্রযোগিনী জে কে উচ্চ বিদ্যালয় জয়ী হয়।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দেবে। এই ভ্যাটের কারণে যেন নতুন করে টিউশন ফি বা অন্য কোনো নামে বাড়তি অর্থ নিতে না পারে, সে জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি যে এই সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট, যেটা টিউশন ফি আদায় হচ্ছে সেখান থেকে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের বলছি, তোমরা যদি নজর না দাও তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কিংবা অন্য কোনো নামে তোমাদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে নেবে। সে জন্য তোমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যেন ফি না বাড়ে।অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন রাস্তাঘাট আমরা আর করছি না। বিদ্যমান সড়কের মান ভালো করছি। স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেক খাত থেকে আমাদের ওপর হুকুম আসছে, সে খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সে টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সেটার জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর রাজস্ব বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়। তেমনই একটি হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ।অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাটের জন্য আন্দোলন করছেন, রাস্তা অবরোধ করছেন। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, আমি যদি তার নেতা হতাম তাহলে বলতাম, আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ট্রাস্ট ফান্ড। আমি যত পরিমাণ ভ্যাট দেব, সমপরিমাণ টাকা সরকারও ওই ট্রাস্টে দেবে। ওই অর্থ গবেষণায় খরচ হবে। তাহলে অনেক মানসম্পন্ন গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে আসবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দেবে। এই ভ্যাটের কারণে যেন নতুন করে টিউশন ফি এর নামে বাড়তি অর্থ নিতে না পারে , সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যদি নজর না দাও তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কিংবা অন্য কোনো নামে তোমাদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে নেবে। সে জন্য তোমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যেন ফি না বাড়ে।অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ২৭ বছরে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে আমরা ৬ বছরে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে সে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাবি দাওয়া মানতে গেলে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সুদের হার সরকার নির্ধারণ করেন না। এটা ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করে। আমরা তাদের অনুসরণ করি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে যারা এখানে বিনিয়োগ করছে তারা ২০ শতাংশের কম লভ্যাংশ আশা করে না। এ মুহুর্তে দেশে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ। তাই কোনোমতে উচ্চ সুদের হার এমহুর্তে যুক্তিযুক্ত নয়।মন্ত্রী বলেন, সরকার একটি মাত্র সুদের হার নির্ধারণ করে, সেটা হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। প্রাইভেট সেক্টর সুদের হার কমাতে চাইলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দিবো।অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাটের জন্য আন্দোলন করছেন, রাস্তা অবরোধ করছেন। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, আমি যদি তার নেতা হতাম তাহলে বলতাম, আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ট্রাস্ট ফান্ড। আমি যত পরিমাণ ভ্যাট দেব, সমপরিমাণ টাকা সরকারও ওই ট্রাস্টে দেবে। ওই অর্থ গবেষণায় খরচ হবে। তাহলে অনেক মানসম্পন্ন গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে থেকে আসবে।প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, ব্যাক –এর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ মুসা প্রমুখ ।