20

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ঢাকায় ১১টি কোরবানি পশুর হাটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা।এর মধ্যে পাঁচটি হাট অধিক ঝুঁকির তালিকায় আছে। এসব হাটকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকাও করা হচ্ছে। এ অবস্থায় হাটকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের একটি তালিকা তৈরি করেছে সংস্থাটি। তালিকার অধিংকাংশই সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মী। এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বেশ কিছু কোরবানির পশুর হাটকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হল।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাট ও আশপাশের এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হবে সোমবার।হাটের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা দেখার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিও দেখবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত ২৩টি পশুর হাটে শনিবার ভোর থেকে পশু ওঠানোর কথা।সোমবার থেকে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট এসব হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।গাবতলী পশুর হাট এবং রায়ের বাজার কবরস্থান সংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চল পুলিশ লাইনের জন্য নির্ধারিত খালি জমিতে দুটি হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন মিরপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান।তিনি বলেন, ইজারাদাররা যেসব শর্তে ইজারা নিয়েছেন, সেগুলো সঠিকভাবে পালন করছেন কিনা তা ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখবে। তাছাড়া সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও দেখবেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে মুশফিকুর রহমান বলেন, কোরবানির সময় কোনো ব্যবসায়ী পশুকে ক্ষতিকর কিছু খাইয়ে মোটাতাজা করেছেন কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশনা এখনও আসেনি। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পুলিশ কর্মকর্তা মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সেজন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।প্রত্যেকটি হাটে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, জাল টাকা চিহ্নিত করার যন্ত্র ও ওয়াচ টাওয়ার। তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে।নির্ধারিত সীমানার বাইরে কেউ হাট বসিয়েছেন কিনা তাও দেখা হবে বলে জানান তিনি।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার এবার মোট সাতটি হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পাশে বাংলাদেশ পুলিশের হাউজিংয়ের জমি সংলগ্ন খালি জমি, উত্তরা ১৫ এবং ১৬ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী সেতু সংলগ্ন খালি জমি, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-০৬, ওয়ার্ড ০৬, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জমি, মিরপুর সেকশন-১১, ওয়ার্ড ০৫, বাওনিয়া বাঁধ সংলগ্ন খালি জমি, গাবতলী পশুর হাট (স্থায়ী), রায়েরবাজার কবরস্থান সংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চল পুলিশ লাইনের জন্য নির্ধারিত খালি জমিতে এসব হাট বসবে।

সাদেক হোসেন খোকা মাঠ, ধূপখোলার ইস্ট এন্ড ক্লাব মাঠ, উত্তর শাহজাহানপুর খিঁলগাও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ, কমলাপুর সংলগ্ন গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ, পোস্ত গোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, খিঁলগাওয়ের মেরাদিয়া বাজার, ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, লালবাগের মরহুম হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ, বেড়ি বাঁধ ও তার আশেপাশের খালি জায়গা, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন খালি জায়গায় বসবে এসব হাট। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমোদিত ছয়টি হাট হল- কদমতলীর শ্যামপুর বালুর মাঠ, মুক্তি সরণী রোড-আদর্শ নগর রোড- গোয়াল বাড়ী মোড়-বর্ণমালা স্কুল সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা, আশকোনা আশিয়ান সিটি হাউজিং এস্টেটের ফাঁকা জায়গা, নতুন বাজার বালু নদীর ১০০ ফুট চওড়া রাস্তার চার নম্বর ব্রিজ থেকে বালু নদী পর্যন্ত উভয় পাশের ফাঁকা জায়গা, সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাট এবং বাড্ডার মেরাদিয়ার ইন্দুলিয়া-দাউদকান্দি-বাঘাপুর।

মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ঈদে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের সচেতনামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন হাট ও টার্মিনালগুলোতে পুলিশ জনগণকে সচেতন করতে প্রচারপত্রও বিলি করবে।গত বুধবার বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। একই সঙ্গে তারা গরুর হাটকেন্দ্রিক চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তালিকাও জমা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা মহানগর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মহানগর পুলিশ ওই তালিকা ধরে দু-একদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া হাটগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ঈদের নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে এক বৈঠকে পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে ৪৯ থানা পুলিশকে ১৬ দফা দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গরুর হাট নিয়ে চাঁদাবাজিসহ যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে গরুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ ছাড়াও ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে আজ-কালের মধ্যেই পুলিশ ব্লকরেইড অভিযান পরিচালনা করবে। এর আগেও ঝুঁকিপূর্ণ হাটের তালিকা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির হাট নিয়ে এ ধরনের প্রতিবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদুল আজহায় ঢাকায় মোট ২৩টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১০টি, উত্তরে ৫টি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭টি হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো বসার অনুমতি দিয়েছে। তবে এর আগেই এসব অস্থায়ী হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। যদিও এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের কঠোর হুশিয়ারি রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির হাট ইজারা নেয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। একদল প্রভাবশালীর মদদে হাট ইজারা পেয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে অন্যরা। এখান থেকেই ক্ষোভের শুরু।

নানা ইস্যুতে এই ক্ষোভের বিস্ফোরণের আশংকা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। বঞ্চিত অংশগুলো ঈদের দু-একদিন আগে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত হাটের পাশেই নতুন হাট বসাতে পারে। এই হাটে গরু নামানোর জন্য এরা ট্রাক ছিনতাই করতে পারে। এতে ইজারা নেয়া হাটে বেশি গরু আসবে না। এতে সংশ্লিষ্টদেও লোকসানের আশংকা থাকে। মূলত এসব কারণেই দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন,এ ব্যাপারে পুলিশকে জিরো টলারেন্স দেখাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো অনুষ্ঠান সামনে রেখে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করে। গোয়েন্দারা তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। সরকার সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মোট ১৫টি পশুর হাটের মধ্যে ১১টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিপূর্ণ পশুর হাটের সংখ্যা ৬টি। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝূঁকিপূর্ণ হাটের সংখ্যা ৫টি। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিপূর্ণ হাটগুলো হচ্ছে- জিগাতলার হাজারীবাগ মাঠ। এ হাটের ইজারা পেয়েছেন জিগাতলা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুল ইসলাম রাজীব। পুরান ঢাকার সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের হাটের ইজারা পেয়েছেন যুবলীগ নেতা ফরহাদ ভূঁইয়া বাবু। পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন খালি জায়গার হাটের ইজারা পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. রুবেল। লালবাগ দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠের হাট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ হাটের ইজারা পেয়েছেন রহমতগঞ্জ মুসলিম সোসাইটির উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. আলম মিয়া। কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ। এ হাটের ইজারা পেয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন সরকার।

অন্যদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হাটগুলোর মধ্যে খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের পশুর হাটটির ইজারা পেয়েছেন খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. আসলাম উদ্দিন। ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী সেতু সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের ইজারা পেয়েছেন বাংলাদেশ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম জাহিদ। পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পাশে বাংলাদেশ পুলিশের হাউজিংয়ের জমি ও সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের ইজারা পেয়েছেন ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন সেলিম। মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা ও রায়েরবাজার কবরস্থান সংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চল পুলিশের হাউজিং সংলগ্ন খালি জমিতে পশুর হাটের ইজারা পেয়েছেন যুবলীগ নেতা খোকন মৃধা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ গরুর হাট গাবতলী হাটটি এ বছর ইজারা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান।

এদিকে ঈদের নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪৯ থানা পুলিশকে ১৬ দফা দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।কমিশনার তার নির্দেশনায় বলেন, গবাদি পশুর ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসীদের বড় টার্গেট হয়ে থাকে। এজন্য তাদের নগদ অর্থ পরিবহনে মানি এস্কট সেবা দিতে হবে। পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা প্রতিরোধে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসাতে হবে। ইজারাদারদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঈদে পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়কে কে›ন্দ্র করে ইতিপূর্বে এলাকাভিত্তিক যেসব সন্ত্রাসীর প্রভাব বিস্তার, মাস্তানি খুনোখুনি দেখা গেছে ওইসব এলাকায় এবার যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে অগ্রিম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বাইরে যাতে কেউ চামড়া পাচার করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য ঈদের দিন রাজধানীর ১৩টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত। প্রস্তুত ঠিকাদাররাও। সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজধানীর পশুর হাটগুলোর পরিচালনা কমিটিও। হাটগুলোতে গরু বাঁধতে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি। ডেকোরেশন করা হয়েছে হাটগুলোর গেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে চলছে নজরদারি। বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুই-একটি হাটে গরু আসলেও রাজধানীর বেশির ভাগ কোরবানির হাট ফাঁকা। কারণ, শনিবারের আগে অস্থায়ী হাটগুলোতে যাতে গরু আসতে না পারে সেজন্যে রয়েছে পুলিশের নিষধাজ্ঞা। তাই শনিবারের পর থেকেই হাট জমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এবার যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। পশু জবাইয়ের পরপরই যাতে বর্জ্য অপসারণ করা হয় সে বিষয়ে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে।গাবতলি পশু ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মজিবুর রহমান বলেন, হাটে আসা গুরু এবং মানুষের সুবিধার্থে মূল হাটের তিন পাশে সামিয়ানি টানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি জানান, জাল টাকা শনাক্ত করতে এখানে মেশিন বসানো হয়েছে। ব্যবসায়িদের জন্যে রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, গরু ছাড়াও গাবতলিতে মহিষ, ছাগল, ভেড়ার আমদানিও হচ্ছে ব্যাপক। এ তালিকায় বাদ থাকছে না উট ও দুম্বা।আফতাবনগরে গিয়ে দেখা যায়, এই হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। গাবতীতে সয়লাব নানাজাতের কোরবানি পশুতে। হাটটিতে এখন গরু রাখারও জায়গা নেই। তবে অন্যান্য হাটে এখনও গরু শূন্য।