Rn

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: আয়কর মেলার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে করদাতাদের মধ্যে করভীতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় আয়কর মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।আনিসুল হক বলেন, কর বিভাগ সম্পর্কে জনগণের ধারণা আমূল বদলে দিয়েছে আয়কর মেলা, তৈরি হয়েছে করদাতা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ। তিনি বলেন, সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির ফলে অনেকে এখন স্বেচ্ছায় আয়কর দিচ্ছেন। মেলায় কর বিষয়ক আইন ও বিধি সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছেন আগতরা। অন্যের ওপর তাদের যে নির্ভরশীলতা ছিল সেটা কমে আসছে এবং অনেকেই নিজের আয়কর রিটার্ন নিজেই পূরণ করতে পারছেন।

কর সম্পর্কে অস্পষ্টতা এবং ভয়-ভীতির বিষয়ও অনেকটা কেটে গেছে বলেই আমাদের ধারণা। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরণের অস্পষ্টতা ও ভয়ভীতি একেবারেই থাকবে না- যোগ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আয়করের মতো নিরস ও জটিল বিষয়কে নিয়ে কিভাবে মেলা আয়োজন করা যায়, সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার। করমেলা দেশ ও দেশের বাইরে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। জনবান্ধব কর ব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি হিসেবে এ মেলা আমাদের কর ব্যবস্থাপনাকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

আয়কর সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান উৎস নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী মাধ্যম। যথাযথ আয়কর প্রদানের মাধ্যমে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তথা একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে আত্মনিয়োগ করতে সবারর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।নতুন আয়কর আইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রচলিত ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশটিকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি। সরকার ২০১৬ সালের মধ্যে আমরা একটি নতুন আয়কর আইন উপহার দিতে পারবে। নতুন আয়কর আইন জনগণের জন্যে অধিকতর সহজবোধ্য, গণমুখী হবে।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনুপাতে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা আশানুরূপ নয় যা প্রতিবেশী সব দেশের চেয়ে অনেক কম। অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।