doinikbarta-hajj

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক-হে আল্লাহ, তোমার ডাকে আমি হাজির ধ্বনিতে বুধবার মুখরিত হল সৌদি আরবের আরাফাতের ময়দান। সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রায় ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবার হজ করছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা এক লাখের বেশি।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আগদ ২০ লক্ষাধিক মানুষের চোখের পানিতে, আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে সব গুনাহ মাফ চাওয়ার প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ হলো হজের খুতবা।বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার কিছু পরে শুরু হয়ে খুতবা শেষ হয় ১২টা ৪৪মিনিটে। আরাফার ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে চলমান বিশ্বের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হজের খুতবা প্রদান করেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা ও হাজিদের আরাফায় অবস্থান সরাসরি সম্প্রচার করে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে খুতবা প্রদান শুরু করেন গ্র্যান্ড মুফতি। এরপর বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য। তাই আমি তারই প্রশংসা করছি। সেই আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মোহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও তার পক্ষ থেকে প্রেরিত পুরুষ (রাসূল)। কামনা করছি, তার প্রতি, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবিদের প্রতি কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত রহমত বর্ষিত হোক। এরপর তিনি বলেন, হে মানবমণ্ডলী! ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। ইসলামে শুধু মানবাধিকার নয়, পশুর অধিকার সম্পর্কেও বলা হয়েছে। ইসলাম সাদা-কালো, ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি। ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় সভ্যতাই উৎকৃষ্ট। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করার কথাও বলা হয়েছে ইসলামে।সম্প্রতি মক্কায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। হজের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের দোয়া করেন। খুতবার শেষ দিকে গ্র্যান্ড মুফতি বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আসুন, সবাই মিলে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রক্ষা করি। সেগুলো হলো- ধর্ম, সম্পদ, ইজ্জত, জীবন ও বিবেক-বুদ্ধি রক্ষার অধিকার।

তিনি বলেন,গণবিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখা যায় না।দেশদখল ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত দিয়ে নিরাপত্তা অটুট রাখা সম্ভব নয়। অবরোধ, অনাহার, অধিকার হরণের ফলাফল কখনোই কল্যাণকর নয়। এগুলোর ফলে শত্রুতা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা ও হাজিদের আরাফায় অবস্থান সরাসরি সম্প্রচার করেছে।মসজিদে নামিরায় সৌদি আরবের বাদশা, রাজপরিবারের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বসে হজের খুতবা শোনেছেন। এবারও হজের খুতবায় সেই অন্ধ মুফতি শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। মক্কার সকল রাস্তার মানুষ এখন আরাফামুখি। হজের অন্যতম কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। আরাফায় অবস্থানকালে হাজিরা ইহরামের দুই টুকরো সাদা কাপড় পরিধান করে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে কান্নাকাটিসহ জীবনের সব অপরাধের কথা স্মরণ করে আল্লাহর রহমত কামনার পাশাপাশি বিশ্বের শান্তি-সমৃদ্ধিও কামনা করবেন।প্রায় সাড়ে ১৪শ’ বছর আগে এই দিনে মহানবী (সা.) আরাফার ময়দানে সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি ইসলামের পরিপূর্ণতা ঘোষণাসহ জীবন পরিচালনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই রীতি অনুসারে এখনও হজের সময় হাজিদের উদ্দেশে খুতবা দেওয়া হয়।

১৭ বছর বয়সে দৃষ্টি হারানো সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির এটি ৩৫তম হজের খুতবা। ৭৪ বছর বয়সী মুফতি হিজরি ১৪০২ সাল থেকে হজের খুতবা দিয়ে আসছেন। নিয়ম অনুসারে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে খুতবা চলে ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। সে হিসেবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া তিনটায় হজের খুতবা শুরু হয়। মসজিদে নামিরায় সৌদি আরবের বাদশা, রাজপরিবারের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বসে হজের খুতবা শুনেন। হজের খুতবায় ইসলামের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসলামের বিভিন্ন দিক এবং পরকালের পুরস্কার ও শাস্তি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। মঙ্গলবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মক্কার কাবা শরিফ থেকে রওনা হয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনায় জড়ো হন হজ করতে আসা মুসলমানরা। ইবাদত-বন্দেগিতে মিনায় রাত কাটানোর পর আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তারা জিকির করেন, নামাজ পড়েন জামায়াতের সঙ্গে।হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার জন্য বুধবার ভোরে তারা মিনা থেকে যাত্রা শুরু করেন ১০ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। শুভ্র সেলাইবিহীন এক কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকার নিয়ম সেখানে।চার বর্গমাইল আয়তনের এই বিশাল সমতল মাঠের দক্ষিণ দিকে মক্কা হাদা তায়েফ রিং রোড, উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে আরও প্রায় পৌনে ১ মাইল বিস্তৃত।মুসলমানদের অতি পবিত্র এই ভূমিতে যার যার মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে নিয়ে তারা ইবাদত করেন; হজের খুতবা শোনেন এবং নামাজ পড়েন।আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ। এ খুতবা রেডিও ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয় বিশ্বময়।মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আদি পিতা আদম ও আদি মাতা হাওয়া পৃথিবীতে পুনর্মিলনের পর এই আরাফাতের ময়দানে এসে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। ১৪ শ’ বছরেরও বেশি সময় আগে এখানেই ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) দিয়েছিলেন তার বিদায় হজের ভাষণ।এই আরাফাতে উপস্থিত না হলে হজের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই হজে এসে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হয় স্বল্প সময়ের জন্য।ইসলামী রীতি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হল হজ।আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে সন্ধ্যায় মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন সমবেত মুসলমানরা। মুজদালিফায় রাতে থাকার সময় তারা পাথর সংগ্রহ করবেন, যা মিনার জামারায় শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ছোড়া হবে।বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মিনায় ফিরে জোহরের নামাজ আদায় করবেন। এরপর শয়তানকে (প্রতীকী) পাথর ছুড়বেন।এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন এবং সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কণ্ঠে মুহুর্মুহু ধ্বনিতে অ বুধবার মুখরিত হয়ে উঠে ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবে আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র হজের মূল অনুষ্ঠান। হাদিসের বিধান অনুযায়ী মঙ্গলবার মিনার তাঁবুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং রাত যাপন করবেন হাজীরা। এর পর হাজীরা বুধবার ফজরের নামাজ আদায় করেই আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তাদের সবার মুখে থাকবে লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিমাতা, লাকাওয়াল মুলক অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশের ৩০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের উদ্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পবিত্র মক্কা নগরী থেকে মিনার তাঁবুতে এসে নামাজ আদায়, ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির-আজকার করেছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হাজার হাজার সুদৃশ্যমান সাদা রঙের তাঁবুতে সুশৃংখলভাবে অবস্থান করেছেন হাজীরা। ফজর নামাজ শেষে কেউ পায়ে হেঁটে, আবার কেউ বিভিন্ন যানবাহনে করে হাজির হন ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে। এবার বাংলাদেশ থেকেও গেছেন এক লাখ ৬ হাজার মুসল্লি।পবিত্র মক্কা নগরী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.)-এর পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক স্থান এই আরাফাত। আরাফাত ময়দানের জাবালে রহমত হচ্ছে পুনর্মিলনের স্মৃতিস্তম্ভ। যেখানে হাজীরা সমবেত হয়ে চুম্বন এবং মোনাজাত করে থাকেন। শুধু তাই নয়, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি আরাফাত ময়দানের আকাশ-বাতাস ও প্রতিটি বালুকণায় প্রতিধ্বনিত হয় হাজীদের হৃদয়মথিত লাব্বাইক ধ্বনি। চারদিকে শুধুই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শানে হাজির হওয়া দুই প্রস্থ সাদা কাপড় পরা লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ। পবিত্র হাদিস শরিফের বর্ণনা মতে, হজের তিনটি ফরজের মধ্যে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরাফাতে অবস্থান ছাড়া হজ পরিপূর্ণ হয় না। হাজীরা কেউ তাঁবু টানিয়ে, কেউ কেউ সরকারি হজক্যাম্পে আবার অধিকাংশই খোলা আকাশের নিচে জাতি-ধর্ম-বর্ণ- গোত্র নির্বিশেষে এক কাতারে মিলিত হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাবে। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফাত ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এখানে মসজিদুল নামিরায় খুতবা শুনবেন এবং মোনাজাতে শরিক হবেন। কাফনের কাপড়ের অনুরূপ দুই খণ্ড শুভ্র বসনে ইহরাম বেঁধে লাখ লাখ মানুষ আত্মসমর্পণ করেন মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে। গোনাহ মার্জনা আর বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়ায় তাদের কান্নার ধ্বনি, পাপমোচনের ব্যাকুলতা, একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি, মোনাজাত- সৌহার্দ বিনিময়ের এ অভূতপূর্ব দৃশ্য স্মরণ করিয়ে দেয় মানবতার ধর্ম ইসলাম, শান্তির ধর্ম ইসলাম, ইসলাম ধনী-গরিবের ভেদাভেদহীন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। বিশ্ব শান্তি প্রত্যাশায় মুসলিম উম্মাহ আরাফাতে আবারও সমবেত হয়ে যে যার মতো ইবাদতে মশগুল হবেন।

চারদিকে পাহাড়ঘেরা বিশাল আরাফাত ময়দানের মাঝে সাত লাখেরও বেশি মুসল্লির ধারণক্ষমতার মসজিদুল নামিরাহ ভোররাতের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে। আরাফাত ময়দানের মসজিদুল নামিরাহতে খুতবা পাঠ করবেন পবিত্র মসজিদ, মসজিদুল হারাম-মক্কার ইমাম আবদুল আজিজ আল শাইখ। মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি, ভ্রাতৃত্ব, মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও ঐক্য এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত গোনাহর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। এরপর আরাফাতেই এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। সন্ধ্যায় রওনা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশে।আরাফাত ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজীরা। রাতে তারা আবার এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হাজীরা। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করার মধ্য দিয়ে হজের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। হাজিরা তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। সৌদি সরকারের বিশেষ ব্যবস্থায় এবারও উন্মুক্ত ময়দানের সব তাঁবু কেবলামুখী করে বাঁধা হয়েছে। আরাফাত ময়দানে কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টারসহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এবারও মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় ছোট ছোট অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরমের প্রকোপ বেশি থাকায় বিশাল ময়দানজুড়ে শত শত শীতল পানির ফোয়ারার মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখা হচ্ছে। নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরির জন্য মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় এবার মোতায়েন করা হয়েছে এক লাখেরও বেশি সেনা ও পুলিশ সদস্য।

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান হচ্ছেন পবিত্র কাবা শরিফের জিম্মাদার। প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি মক্কার গভর্নর প্রিন্স ফয়সল আল খালেদ, মসজিদুল হারামের সম্মানিত খতিব আবদুর রহমান আস সুদাইসিস’সহ অন্যদের নিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ পরিষ্কার করেন। তার আগে তিবি কাবা গৃহের ভেতরে নামাজ আদায় করেন এবং নিজ হাতে রুমাল দিয়ে কাবা শরিফের দেয়াল পরিষ্কার করেন। নামাজ শেষে তিনি হাজরে আসওয়াদ চুমু খেয়ে কাবা শরিফের পুরনো ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সবশেষে তিনি সবাইকে নিয়ে পবিত্র জমজমের পানি পান করেন।