মিনায় নিহতদের লাশ বিকৃত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১অক্টোবর ২০১৫ :  মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হাজিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪১ জন বাংলাদেশি শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৮ জন।জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এই ৪১ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে। ১২ জনের শুধু নাম জানা গেছে। ১১ জনের নাম জানা যায়নি।আরও ৬১ জন বাংলাদেশি মক্কা ও জেদ্দার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। তাঁদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ও মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশন ওই সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনায় কত বাংলাদেশি মারা গেছেন, তা জানতে সময় লাগবে। পদপিষ্ট হয়ে অনেক লাশ বিকৃত হয়েছে। নাগরিকত্বের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না।এতে লাশ সঠিকভাবে শনাক্ত করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস ও হজ কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শহীদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ও স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই তালিকা প্রস্তুত করেছি। এটা ভেরিফাইড না।আহত হাজিদের ব্যাপারে শহীদুল করিম জানান, মক্কার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬১ জন বাংলাদেশি হাজি এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ পর্যন্ত কতজনের মরদেহ হস্তান্তর বা দাফন করা হয়েছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের না জানিয়ে নিহত স্বজনের মরদেহ দাফন করে ফেলেছেন। এ কারণে সঠিক তথ্যটা আমাদের কাছে নেই।গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনার বড় জামারাতে শয়তান স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় পদদলিতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাত শতাধিক হাজির মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরও নয় শতাধিক।এদিকে, মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যদের পরিচয় জানতে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও মক্কার বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বাকি ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও মক্কার বাংলাদেশ হজ মিশন কাজ করছে।বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে নিখোঁজ হাজিদের আত্মীয়-স্বজন, সফরসঙ্গী ও হজ এজেন্টদের মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের সঙ্গে (কক্ষ-১০৭, ফোন: ০০৯৬৬-(০) ১২৫৪১৩৯৮০, ই-মেইল: সরংংরড়হযধলল@মসধরষ. পড়স) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের তথ্য সংগৃহীত থাকা ডেটাবেস থেকে নিহত হাজিদের আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মিনায় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলিত হয়ে মারা যান ৭৬৯ জন। ৯৩৪ জন হাজি আহত হয়েছেন। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্যমতে, মিনার দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হাজি মারা গেছেন ইরানের। দেশটির অন্তত ২২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মরক্কোর ৮৭ জন, মিসরের ৭৮, নাইজেরিয়ার ৬৪, ভারতের ৪৬, ইন্দোনেশিয়ার ৪৬, পাকিস্তানের ৪৪, মালির ৩০, নাইজারের ২২ ও ক্যামেরুনের ২১ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেট এ পর্যন্ত যে ৪১ জনের তথ্য দিয়েছে, তার মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। আরও ১২ জনের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এছাড়া আরও ৬১ জন বাংলাদেশি মক্কা ও জেদ্দার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে বাকিদের পরিচয় জানতে জেদ্দার বাংলাদেশ কনসুলেট ও মক্কার বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মিনায় শয়তানের স্তম্ভে পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনের ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৯৩৪ জন। সৌদি কর্তৃপক্ষ লাশ উদ্ধারের পর ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে এবং তাদের শনাক্ত করার জন্য ছবি প্রকাশ করেছে।ওই ছবির সঙ্গে মিলিয়েই বাংলাদেশিদের শনাক্ত করার কাজ করছেন হজ কর্মকর্তা ও এজেন্সিগুলো। এই প্রক্রিয়ায় এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।পদদলনের ঘটনার দুই দিন পর সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ৭৬৯ জনের মৃত্যুর খবর দেন। এরপর হতাহতের তথ্য আর হালনাগাদ করা হয়নি।তবে ইরানের দাবি, নিহতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি; সৌদি আরবে অবস্থানরতরাও একই ধরনের কথা বলেছেন।

মক্কা থেকে একজন বাংলাদেশি বলেছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে তার ধারণা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা সরকারি তথ্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। শনাক্ত না হওয়া বহু লাশ এখনও হাসপাতালগুলোতে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও বিকৃত ক্ষতবিক্ষত লাশে পচন ধরেছে, গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে রাস্তা থেকে।ওই বাংলাদেশি জানান, মক্কায় দুদিন নেট পাওয়া যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ যেসব ছবি শনাক্ত করার জন্য দিয়েছে তার মধ্যে বহু কৃষ্ণাঙ্গও রয়েছেন। নাইজেরিয়ার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, জেদ্দার মর্গে ১ হাজার ৭৫ জনের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংখ্যাটি সৌদি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত নিহতের সংখ্যা ৭৬৯ জন থেকে অনেক বেশি। অন্যান্য দেশগুলোও তাদের কাছে ১ হাজার ৯০টি লাশের ছবি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে।কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, যাদের ছবি পাঠানো হয়েছে তাদের সবার মৃত্যু পদদলনের ঘটনায় হয়নি, অন্যান্য কারণে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু পরিচয় শনাক্ত হয়নি, এমন লাশেরও ছবি পাঠানো হয়েছে।সৌদি মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি জানিয়েছেন, সৌদি আরবে বসবাস করা অনেক বিদেশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই হজ পালন করেছেন।এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেইন উল্টে নিহত ১০৯ জনের ছবিও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রোববার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ট্যুইটারে জানিয়েছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ মৃত ১ হাজার ৯০ হাজির ছবি পকাশ করেছে।সুষমার এই ট্যুইটের সূত্র ধরে মিনার পদদলনে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়ে যায়।পাকিস্তান ও ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তারাও ইঙ্গিত দেন, তাদের কাছেও এক হাজারেরও বেশি এ ধরনের ছবি পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরের বিষয়গুলো সৌদি কর্তৃপক্ষ যেভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে তার কঠোর সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাগরিক হারানো সৌদির প্রতিবেশী দেশ ইরান সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনায় কত বাংলাদেশি মারা গেছেন, তা জানতে সময় লাগবে। পদপিষ্ট হয়ে অনেক লাশ বিকৃত হয়েছে। নাগরিকত্বের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এতে লাশ সঠিকভাবে শনাক্ত করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস ও হজ কর্মকর্তারা। পদদলিত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর কথা সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। যার মধ্যে মাত্র ১৮ জনের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশি হাজি অনেকের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এখনো অন্তত ৫২ জন হাজির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে ও হতাহত হাজিদের সংখ্যা জানতে আরও দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশি কর্মকর্তারা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. বোরহানউদ্দিন বলেন, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য মক্কায় হজ মিশনের কাজ আরও ৪৫ দিন বাড়াতে মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, নভেম্বরের শুরুতেই সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর হজের শেষ দিকে মিনার ২০৪ নম্বর সড়কের ৮ / ২০৮ নম্বর তাঁবু থেকে ১২ / ২০৪ নম্বর তাঁবু বরাবর সড়কে পদদলিত হয়ে বিভিন্ন দেশের ৭৬৯ জন হাজি মারা যান। আট শতাধিক হাজি আহত হন। ইতিমধ্যে মৃতের তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে সৌদি আরবে বাংলাদেশের হজ মিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, সৌদি সরকারের দেওয়া তথ্য ছাড়া কোনো দেশের পক্ষে নিজ নিজ সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। পদদলনের ঘটনার পর দেশটির সরকার কিছুটা ধীরে চলছে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ৭৬৯ জন হাজির মৃত্যুর কথা জানি। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তান দূতাবাসের কাছে নিহত এক হাজার ১০০ হাজির তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে ছবি সংগ্রহ করে বাংলাদেশি হাজিদের ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছি। সৌদির দেওয়া তালিকার বাইরে আরও কয়েকটি লাশের ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি, এরা বাংলাদেশি। তাই ধারণা করছি, বাংলাদেশি হাজিদের মৃতের সংখ্যা ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে বাড়বে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ৪১ জন হাজির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৩ জন বলে জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতেও হাজির সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত সোমবার রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় মর্গে যায়। সেখান থেকে খুব বেশি তথ্য তাঁরা পায়নি। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের আসতে বলা হয়েছে। তাঁরা এসে যেন দ্রুত লাশ চিহ্নিত করে। লাশ চিহ্নিত করার পর দাফনের ব্যাপারে কাজ শুরু করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মকর্তা বলেন, মর্গের কর্মীরা কাগজপত্র ঘেঁটে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ মর্গে রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সবার পরিচয় নিশ্চিত করতে লাশ দেখার অনুমতি পাওয়া যায়নি। এতে নিহত ২৬ জনের মধ্যে মাত্র ১৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে সাধারণত বাংলাদেশি হাজিরা চলাফেরা করেন না। ওই দিন ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো হাজিকে হাঁটতে দেখেছিলেন আক্কাস আলী নামের একজন বাংলাদেশি হাজি। শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে অন্য হাজিদের সঙ্গে তিনিও যাচ্ছিলেন।

আক্কাস আলী বলেন, ওই দিনের ঘটনায় তিনি আহত হন। তবে বেঁচে ফিরেছেন। তিনি বলেন, যেসব বাংলাদেশিকে তিনি হাঁটতে দেখেছিলেন, এর মধ্যে অনেক হাজিকে পরে আর খুঁজে পাননি। কয়েকজনকে দেখেছেন, কথাও বলেছেন।