atiur-mahmudOpu-dt0143

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ০৮ অক্টোবর ২০১৫: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান রেমিটেন্স প্রেরনে ব্যাংক বহির্ভূত অবৈধ চ্যানেল পরিহার করতে স্বল্প আয়ের ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বুধবার পেরুর লিমায় অবস্থিত লিমা কনভেনশন সেন্টার অব মাটেও সালাডোতে অনুষ্ঠিত স্টেমিং দ্যা টাইড অব ডি-রিস্কিং থ্রু ইনোভেটিভ টেকনোলজিস অ্যান্ড পার্টনারশীপস’ শীর্ষক জি-২৪/এএফআই নীতিনির্ধারকদের এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যদান কালে এ আহবান জানান।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক নিগারা মালয়েশিয়া’র গভর্নর ড. জেটি আখতার আজিজ, প্যারাগুয়ের অর্থমন্ত্রী মি. সান্তিয়াগো পেনা, বিসিইএও গভর্নর মি. টাইমোকো মেলিয়েট কোনে এবং ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংকো সেন্ট্রাল দো ব্রাজিলের’ ডেপুটি গভর্নর মি. লুইজ ফেলট্রিম। বিশ্বের ১৫টিরও বেশি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (এএমএল) ও সিএফটি ইস্যুগুলো তুলে ধরেন, যেখানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং এএমএল সিএফটি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ইউএনসিএসি’র শর্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার কাজে সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।

এফএটিএফ সম্পর্কিত মাদক ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে টেকসই অঙ্গীকার নিয়ে এ ধরনের এএমএল সিএফটি উদ্যোগ গ্রহণে বাংলাদেশ সকল আশঙ্কা থেকে দেশকে পুরোপুরি মুক্ত করেছে।তিনি সাম্প্রতিক সময়ে স্বল্প আয়ের দেশে অবস্থিত পরিবারের জন্য অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের ব্যাংক বহির্ভুত চ্যানেল ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ পথ পরিহারের আহ্বান জানান। এজন্য তিনি নিজ নিজ দেশের এফআইইউ-কে আরও শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশে অনুসৃত মডেলের অনুরূপ ই-কেওয়াইসি এবং অনলাইন সিডিডি ভেরিফিকেশন সুবিধা চালু করার ওপর জোর দেন। ড. আতিউর রহমান আরো বলেন, বহুপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও দ্বি-পাক্ষিক ভিত্তিতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটিকে স্বাগত জানাবে।