দৈনিকবার্তা-ফেনী, ১২ অক্টোবর ২০১৫: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও মেরামত করেছেন স্থানীয় যুবকরা৷ এতে তাদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে এবং গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ এতে অংশ নিয়ে তিন দিনেই কাজ শেষ করে সড়কটি জন চলাচলের উপযোগী করেছেন৷ গ্রামের সিংগাপুর প্রবাসী যুবক নুরুল আফসার রাজন জানান, সম্প্রতি তিনি বাড়ি এসে গ্রামের নুর মোহাম্মদ সড়কটির বেহাল অবস্থা দেখতে পান৷ ওই সড়কে রিঙ্া, অটোরিঙ্া চলাতো দূরের কথা পায়ে হেটে চলারও ছিল কষ্টকর৷ ছোটবড় অসংখ্য খানাখন্দক আর গর্ত ছিল৷ গত ঈদুল আযহার আগে গ্রামের দুলাল হোসেন চৌধুরী নামের একজন প্রবাসী সড়ক দুর্ঘটনায় মিশরে মারা যায়৷ উনার লাশটি ঢাকা বিমান বন্দর থেকে ্এ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের সীমানায় পেঁৗছলেও সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে এ্যাম্বুলেন্সটি লাশ নিয়ে গ্রামে ঢুককে পারেনি৷ পরে স্থানীয়রা মসজিদের খাটিয়ায় করে লাশটি বাড়ি নিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ পরে তিনিসহ গ্রামের ইকবাল হোসেন পিকু, মহসীন সুমর, সোহাগ, আজাদ, কামালসহ কয়েকজন যুবক নিজেরা সড়কটি সংস্কার মেরামতের উদ্যোগ নেয়৷ তারা প্রথমে নিজেরা কিছু টাকা দিয়ে শুরু করেন৷ পরে গ্রামের অন্যান্য লোকজন কেউ অর্থ দেয়৷ এভাবে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে ইটভাটা থেকে আধলা ও কংক্রিট এবং বালু সংগ্রহ করা হয়৷ শেষে নিজেরা শ্রম দিয়ে হাতুড়ি-সাবল দিয়ে ইটের টুকরাগুলি সমান করে বসিয়ে দিয়ে তিন দিনেই সড়কটি সম্পূর্ন চলাচল উপযোগী করা হয়৷ গত ১০ অক্টোবর কাজ শেষ করে যাহবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে৷
ইকবাল হোসেন পিকু অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরেও সড়কটি সংস্কার মেরামত হয়নি৷ ফলে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে৷ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসী পক্ষ থেকে বাববার বলা হলেও কাজ হয়নি৷স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম তকি ও চান্দলা গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন উভয়ে গ্রামের যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার ও মেরামতের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং তাদের কাজের প্রশংসা করেন৷ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, যুবকদের ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয়৷ প্রায় তিন বছর আগে একবার সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল৷