2015_10_13_16_04_23_x8m6iOGnjJMTpZx3G3YgzXW0nSpeJe_original

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, আইন অনুযায়ী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পৌরসভার নির্বাচন হবে৷ তিনি বলেন,পৌর নির্বাচন থেকেই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করতেচায নির্বাচন কমিশন৷ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ একথা বলেন৷

শাহ নেওয়াজ বলেন, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ২৫০টির মতো পৌরসভায় নির্বাচন হবে৷ আইন অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে৷ নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীক নিয়ে৷ এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য পদগুলোর জন্য আলাদা রঙের ব্যালট পেপার থাকবে৷তিনি বলেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আইন সংশোধন করা হচ্ছে৷ এজন্য আমাদেরও কিছু বিধি সংশোধন করতে হবে৷ সংশোধন করেই নির্বাচন করা হবে৷ প্রয়োজনে বেশি লোকবল নিয়োগ করা হবে৷শাহ নেওয়াজ আরো বলেন, আইন না হয়ে অধ্যাদেশ হলেও বেশি পরিশ্রম করে নির্বাচন করব, যাতে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারি৷ কয় ধাপে নির্বাচন হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি৷ এ সিদ্ধান্ত কমিশনের বৈঠকে নেয়া হবে৷তিনি বলেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আইন সংশোধন করা হচ্ছে৷ এজন্য আমাদেরও কিছু বিধি সংশোধন করতে হবে৷ সংশোধন করেই নির্বাচন করা হবে৷ কিছু সমস্যা থেকে গেলেও প্রয়োজনে বেশি লোকবল নিয়োগ করা হবে৷শাহ নেওয়াজ আরো বলেন, আইন না হয়ে অধ্যাদেশ হলেও বেশি পরিশ্রম করে নির্বাচন করব, যাতে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারি৷ কয় ধাপে নির্বাচন হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি৷ এ সিদ্ধান্ত কমিশনের বৈঠকে নেয়া হবে৷

সরকার যদি আগামী সাতদিনের মধ্যেই দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের অধ্যাদেশ দেয় তবে আগামী ডিসেম্বরের (২০১৫ সাল) পৌরসভা নির্বাচনও দলীয়ভাবে করা যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান৷তিনি বলেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে, চর্চাও বাড়বে৷ সরকার যদি দলীয়ভাবে এ নির্বাচন করতে চায় তাহলে আইন সংশোধন করতে হবে৷ মন্ত্রিসভায় আইনের সেই খসড়াটি অনুমোদন হয়েছে এখন সেটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে৷ সেখান থেকে আবার মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে৷ এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন৷সিরাজুল ইসলাম বলেন, চূড়ান্তের পর সেটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে তোলা হবে৷ আর তা যদি না হলে, অধ্যাদেশ করা হবে৷ সরকার যদি আগামী সাতদিনের মধ্যেই অধ্যাদেশ করে দেয় তবে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনই দলীয়ভাবে করতে পারবো৷

সব নির্বাচনেই চ্যালেঞ্জ থাকে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ আগেও ছিল, এখন আছে, দলীয়ভাবে হলেও থাকবে৷ তবে নতুনভাবে নির্বাচন করলে কোনো অসুবিধা হবে না৷ এর মধ্যে আমারা সংশোধিত আইন অনুযায়ী বিধিমালাও সংশোধন করবো৷স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এবার থেকে স্থানীয় সরকারের সবস্তরের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও ব্যানার ব্যবহার করবেন প্রার্থীরা৷ সোমবার স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ সংশোধন আইন-২০১৫, উপজেলা পরিষদ সংশোধন আইন-২০১৫, জেলা পরিষদ সংশোধন আইন-২০১৫ ও সিটি করপোরেশন সংশোধন আইন-২০১৫\’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷ পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের পৌরসভা সংশোধন আইনের খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন, তাতে ফের ‘না’ ভোট চালু করাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে ইসির হাতে৷ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংশোধিত নির্বাচনী আইনে নবম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ দেয়ার সুযোগ পান বাংলাদেশের ভোটাররা৷ওই নিয়মে প্রার্থী পছন্দ না হলে একজন ভোটার ব্যালট পেপারে \’উপরের কাহাকেও নহে\’ লেখা একটা ঘরে সিল দিতে পারতেন৷ কোনো আসনে \’না\’ ভোটের সংখ্যা বাঙ্ েপড়া মোট ভোটের অর্ধেক বা তার বেশি হলে নতুন করে ভোট আয়োজনেরও বিধান ছিল৷নবম সংসদের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হলে তাতে না ভোটের বিধান বাদ পড়ে৷কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত ১০ জুন আরপিও সংশোধনের বিষয়ে ইসি সচিবালয়, বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্যালয় এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তার কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়৷ সে অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তারা আরপিও’র বিভিন্ন ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন৷ প্রস্তাব পাঠাতে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে৷